মানিকগঞ্জের দৌলতপুর বাজার বাসষ্ট্যান্ডে রাতারাতি অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছিল ব্যাঙের ছাতার মতো ৩ টি ছোট ঘুন্টি টং দোকান, তাবু টাঙিয়ে ৩ টি চায়ের দোকান। বাসষ্ট্যান্ড দখল হওয়ায় ২/৩ বছর ধরে দৌলতপুর বাজারে ও ব্যস্ততম ঢাকা-দৌলতপুর-টাঙ্গাইল মেইন সড়কে প্রতিনিয়ত যানজট লেগে থাকতো । সেই অবৈধ ঘুন্টি টং দোকান উচ্ছেদ হওয়ায় যানজট মুক্ত এখন দৌলতপুর বাজারের ছোট্ট শহর ও বাসষ্ট্যান্ড এলাকা ।সেখানে মিনিবাস, সিএনজি অটো রিকশা,লেগুনা,ব্যাটারী চালিত যানবাহন পাকিং কাজে ব্যবহার হচ্ছে। সাধুবাদ জানিয়েছেন, রাজনৈতিক ব্যক্তি, বাজার বনিক সমিতি,এলাকার ভুক্তভোগি ও জনসাধারন।
গত ১২ ডিসেম্বর সোমবার দৌলতপুর বাজার বাসষ্ট্যান্ডে আইন শৃংখলা রক্ষায় ও জনসাধারনের দাবির পরিপেক্ষিতে পুলিশ বাহিনী অবৈধ৩ ৩ট ঘুন্টি টং দোকান,তাবু টাঙানো ৩ চায়ের দোকান সড়িয়ে নিতে নির্দেশ দেন। পরে দোকান মালিকরা সেচ্ছায় তাদের ঘুন্টিটং মালামাল সড়িয়ে নিয়ে যায়। যানজট মুক্ত এখন দৌলতপুর বাজারের ছোট্ট শহর ও বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় শৃংখলা ফিরে এসেছে।
দীর্ঘ দিনের ধরে অবৈধ ঘুন্টিটং দোকান উচ্ছেদের দাবি ছিল বাজারের বনিক সমিতি, দোকান মালিক, ভিলেজ লাইন মিনিবাস চালক,সিএনজি অটোরিকশা সহ যানবাহন চালক ও এলাকার জনসাধারনের।
চা বিক্রেতা মো: আলী হোসেন জানান,২/৩ বছর যাবত এখানে অবৈধ ভাবে তাবু টাংঙিয়ে কোন মতে চা বিক্রি করে আসছি। আমাদের সরকারী ভাবে কোন কাগজপত্র বা লিজ দেওয়া হয়নি ওসি সাব ভেঙ্গে সরিয়ে নিতে বললে জিনিস পত্র নিয়ে যাই।
ঘুন্টিটং দোকান মালিক জিল্লাল বেপারী জানান, সরকারী ভাবে আমাদের কোন বরাদ্দ বা কাগজপত্র নাই। তাই আমার ঘুন্টি টং দোকানের মালামাল সরিয়ে নেই।
চা বিক্রেতা আজাহার শেক জানান, বাজারে ২/৩ বছর ধরে সরকারী জায়গায় চায়ের দোকান দিয়েছি হঠাৎ ওসি স্যার সড়িয়ে নিতে বলে।
ঘুন্টি টং দোকান মালিক আজিজুল বেপারী জানান, বাজারে ২/৩ বছর ধরে সরকারী জায়গায় ঘুন্টি টং দোকান উত্তোলন করে দোকান করি । ভাসমান হিসাবে সরকারী ভাবে আমাকে কোন বরাদ্দ দেয়নি।
এবিষয়ে বাজার বনিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মো: হাবিবুর রহমান হবি জানান, বাজারে বাসষ্ট্যান্ডের জায়গায় অবৈধ ভাবে দখল করে ঘুন্টি টং দোকান উত্তোলন করে। ফলে দৌলতপুর বাজারে ও মেইন সড়কে প্রতিনিয়ত যানজট লেগে থাকতো। ভিলেজ লাইন মিনিবাস,সিএনজি অটোরিকশা,সহ যানবাহন রাখার কোন জায়গা ছিল না । সব সময় ঐসব দোকানে ভাসমান দেহ ব্যবসায়ী মহিলা ও মাদক সেবীদের আড্ডা ছিল।
এবিষয়ে আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ফরিদ আহম্মেদ ও চকমিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মহিদুর রহমান মুক্তা জানান, দৌলতপুর বাজারে বাসষ্ট্যান্ডের জায়গায় অবৈধ ভাবে দখল করে ঘুন্টি টং দোকান উত্তোলন করে। যার ফলে দৌলতপুর বাজারে ও মেইন সড়কে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হতো। পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবৈধ ৩টি ঘুন্টি টং দোকান ও তাবু টাঙানো ৩ চায়ের দোকান সরিয়ে নেওয়ায় বাসষ্ট্যান্ড যানজট মুক্ত হয়েছে। সব সময় ঐসব দোকানে ভাসমান দেহ ব্যবসায়ী মহিলা ও মাদক সেবীদের আড্ডা ছিল । পুলিশ প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন, রাজনৈতিক ব্যক্তি, বাজার বনিক সমিতি,গনমাধ্যম কর্মী,এলাকার ভুক্তভোগি ও জনসাধারন।
এবিষয়ে দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো: জাকারিয়া হোসেন জানান, বাজারে বাসষ্ট্যান্ডের জায়গায় অবৈধ ভাবে দখল করে ৩টি ঘুন্টি টং দোকান ও তাবু টাঙানো ৩ চায়ের দোকান উত্তোলন করে। ফলে দৌলতপুর বাজারে ও মেইন সড়কে প্রতিনিয়ত যানজট লেগে থাকতো। ভিলেজ লাইন মিনিবাস,সিএনজি অটোরিকশা,সহ যানবাহন রাখার কোন জায়গা ছিল না।
এছাড়া বাজার বাসষ্ট্যান্ডে আইন শৃংখলা রক্ষায় ও জনসাধারনের দাবির পরিপেক্ষিতে পুলিশ বাহিনী অবৈধ ঘুন্টি টং দোকান সড়িয়ে নিতে বলা হয়। ঘুন্টি টং দোকান মালিকরা সেচ্ছায় ও মালামাল সরিয়ে নিয়ে যায়।