সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও জাহাঙ্গীর আলমের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়টি ব্যাপকভাবে ভাইরাল হচ্ছে। দলীয় বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলরদেরও রাতে যেতে দেখা গেছে তার বাসভবনে। অনেকেই ফুলের তোড়া নিয়ে ছুটে গেছেন সেখানে।
এ সময় জাহাঙ্গীর আলম তার বাসভবনে সমবেত লোকজনের উদ্দেশ্যে ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাধারণ মানুষের সেবা করার জন্য তিনি এলাকার মন্ত্রী-এমপি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সমন্বয় করে এবং সুসম্পর্ক রেখে আগামীদিনে কাজ করতে চান।
গতকাল সকাল থেকে দলে দলে নগরের ছয়দানা এলাকার তার বাসভবনে বাঁধভাঙ্গা জোয়ারের মতোই বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী জড়ো হয়েছেন।
শনিবার আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির বৈঠকে বিদ্রোহী প্রার্থীসহ বিভিন্ন কারণে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়। গণভবনে ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
সেই সিদ্ধান্তে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের তালিকায় আগামী নির্বাচন সামনে রেখে এবং গাজীপুরে সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে জাহাঙ্গীর আলমও রয়েছেন, এমনটা দাবি করা হচ্ছে জাহাঙ্গীর আলমের ঘনিষ্ঠজনদের পক্ষ থেকে। যদিও আলাদা করে জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে।