গতকাল রোববার রাজধানীর মোহম্মদপুরের হুমায়ুন রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাবের সিনিয়র এএসপি ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. ফজলুল হক।
র্যাবের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের পাশে দর্জি দোকানের কর্মচারী বিশ্বজিৎ দাসকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় করা হত্যা মামলায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ২১ জন আসামিকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয়। বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ ওই মামলায় ২১ আসামির মধ্যে মীর মো. নূরে আলম লিমনসহ ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পরবর্তীতে হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৮ জনের মধ্যে ২ জনকে বেকুসুর খালাস দেন এবং মীর মো. নূরে আলম লিমনসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। হাইকোর্টে রায় ঘোষণার সময়ও লিমন পলাতক ছিলেন।
পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় মোহম্মদপুরের হুমায়ুন রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে লিমনকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বরেও জানায় র্যাব।