#আমরা সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রত্যাশী: ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। #বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না: মাকসুদা সুলতানা ঐক্য।
প্রকাশ: সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ১:০০ এএম | অনলাইন সংস্করণ
এই বিজয়ের মাসে প্রথমেই সবাইকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং সে সঙ্গে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই বিজয়ের চেতনা আমাদের কতটুকু উদ্দীপ্ত করে তা নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি। আমরা একটি সুন্দর সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে আমরা এই স্মার্ট বাংলাদেশের চেতনায় অবগাহন করেছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্মার্ট বাংলাদেশের অঙ্গিকার নিয়ে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে জাতির পিতা যে আদর্শ দিয়ে গেছেন, সেই আদর্শ নিয়ে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে তার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৯২০তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সাংবাদিক, ভোরের পাতা সংলাপের সমন্বয়ক মাকসুদা সুলতানা ঐক্য।
ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, এই বিজয়ের মাসে প্রথমেই সবাইকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং সে সঙ্গে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই বিজয়ের চেতনা আমাদের কতটুকু উদ্দীপ্ত করে তা নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি। আমরা একটি সুন্দর সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে আমরা এই স্মার্ট বাংলাদেশের চেতনায় অবগাহন করেছি। গত নির্বাচনের আগে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য যে অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছিল সেটার হাত ধরেই এই স্মার্ট বাংলাদেশের ধারণা আমরা পেয়েছি। আমাদের নতুন প্রজন্মের মানুষরা ডিজিটাল জেনারেশনের অন্তর্ভুক্ত এবং সেই নিরিখেই তারা নিজেদেরকে কৌশলগত যে প্লান আছে তা বানানোর ক্ষেত্রে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করছে। এর পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে নতুন নতুন যত মেগা প্রোজেক্ট গুলো আছে তা যখন বাস্তবে রূপ পাচ্ছে তার সুফল আমরা পাওয়া শুরু করেছি।সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তরুণ প্রজন্ম নতুন উদ্দীপনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে দেশপ্রেম, গণতান্ত্রিক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হৃদয়ে ধারণ করে।
মাকসুদা সুলতানা ঐক্য বলেন, সহস্রাব্দের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর যোগ্য উত্তরসূরি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যার বিচক্ষণ নেতৃত্বেই নিজস্ব অর্থে আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। আমাদের হৃদয়ের পদ্মা সেতু আমাদের অহংকার। ‘বাংলাদেশ যে পারে’, প্রধানমন্ত্রীর পদ্মা সেতুর মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন। পদ্মা সেতু যাতে না হয় তা নিয়ে অনেক ধরনের ষড়যন্ত্র হয়েছে, অনেক বিরোধিতা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো ষড়যন্ত্র, কোনো বিরোধিতাই আটকাতে পারেনি বাংলাদেশ কে। মানুষ কোনো সেবা পায় আজ ডিজিটালি হাতের মুঠোয়। সেবা পেতে অযথা এখন আর হয়রানির শিকার হচ্ছেন না। আর কখনও পথ হারাবে না বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করে তার ভিত্তিতে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ধরে দেশের উন্নয়ন এগিয়ে নেয়া হয়েছে। এখন ২০২২ প্রায় শেষ কিন্তু শেষ হয়নি উন্নয়নের স্বপ্নের বাস্তবায়নের কাজ। ২০৪১ সাল পর্যন্ত প্রেক্ষিত পরিকল্পনা তৈরি করে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। কাজেই এটা ধরে এগোতে পারলে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্মার্ট বাংলাদেশের অঙ্গিকার নিয়ে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে জাতির পিতা যে আদর্শ দিয়ে গেছেন, সেই আদর্শ নিয়ে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে তার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য।