আগের দিনের ৬ উইকেটে ২৭২ রান নিয়ে নেমে দিনের তৃতীয় ওভারেই পড়ে উইকেট। পেস বলে আঘাত হানেন মোহাম্মদ সিরাজ। মেহেদী হাসান মিরাজ ড্রাইভ করার চেষ্টা করেন তিনি, বল এজড হয়ে আশ্রয় নেয় ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট ফিল্ডারের হাতে। ৪৮ বলে ১৩ করে বিদায় নেন তিনি।
সঙ্গী হারিয়ে আরেক প্রান্তে অধিনায়ক সাকিব কোন পথ খোঁজে না পেয়ে চালিয়ে খেলতে থাকেন। আকসারকে স্লগ সুইপ, স্ট্রেট ড্রাইভে দুই ছক্কায় পৌঁছান ফিফটিতে। সাকিবকে আউট করতে শর্ট বলের আশ্রয় নেন সিরাজ, পুল করে সেসব উড়ান বাউন্ডারিতে। বলে বলে রান আনার খোঁজে থাকতে দেখা যায় তাকে।
বাঁহাতি স্পিনে আকসারকে চালিয়ে যেতে থাকেন। তার বলগুলো সাকিবের কাছে ছিল অতি সহজ, একের পর বড় শটে দ্রুত রান বাড়িয়ে চলেন তিনি। বোলিং পরিবর্তন করেই অবশ্য সাকিবকে ফেরাতে পারে ভারত। রিষ্ট স্পিনার কুলদীপ যাদবের বল সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ১০৮ বলে ৬ চার আর ৬ ছক্কায় ৮৪ করে থামেন তিনি। ৮ম উইকেটে তাইজুলকে এক পাশে রেখে সাকিব যোগ করেন ৩৭ রান।
খানিক পর ইবাদত হোসেনকেও ছাঁটেন কুলদীপ। আকসার পরের ওভারে তাইজুল ইসলামকে বোল্ড করে সারেন আনুষ্ঠানিকতা।
এই ম্যাচ হারার প্রেক্ষাপট প্রথম ইনিংসেই সেরে ফেলে বাংলাদেশ। ভারতের ৪০৪ রানের জবাবে মাত্র ১৫০ রানে গুটিয়ে চরম ব্যাকফুটে চলে যায় সাকিবের দল। ভারত ফলোঅন না করিয়ে আরও ২৫৮ রান যোগ করে তৃতীয় দিন বিকেলে ৫১৩ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশকে। ম্যাচ জিততে গড়তে হতো বিশ্ব রেকর্ড। দুই দিনের বেশি ব্যাট করে ড্র করাও ছিল অসম্ভব পথ। দ্বিতীয় ইনিংসে দুই ওপেনার দেখান নিবেদন। উদ্বোধনী জুটিতে তারা নাজমুল হোসেন শান্ত আর জাকির হাসান আনেন ১১৯ রান। শান্ত ৬৭ করে থামলেও অভিষেকেই সেঞ্চুরির আনন্দে ভাসেন সাকিব।
দেশের চতুর্থ ক্রিকেটার ও প্রথম ওপেনার হিসেবে টেস্ট অভিষেকে জাকিরের সেঞ্চুরি এই ম্যাচে বাংলাদেশের একমাত্র প্রাপ্তি। দুই ওপেনার ছাড়া রান পেয়েছেন সাকিব, তবে সাকিবের ইনিংসের আগেই ম্যাচ হারা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলে স্বাগতিকরা।