দ্রুত বিকাশ লাভ করছে দেশের পর্যটন শিল্প। চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে দেশে গড়ে উঠছে নিত্য-নতুন হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, ও পর্যটন স্পট। ক্রমবর্ধমান পর্যটন শিল্পে সেবার মান উন্নয়নে এই খাতের উদ্যোক্তা এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বিত অংশগ্রহণের বিকল্প নেই বলে মনে করছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
শনিবার সকালে এফবিসিসিআই’র ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট (ইনবাউন্ড, আউটবাউন্ড, ডোমেস্টিক অ্যান্ড সিভিল এভিয়েশন) বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির তৃতীয় সভায় এই কথা জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন।
প্রধান অতিথি হিসেবে বৈঠকে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দিয়ে মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির জন্য পর্যটন অনেক সম্ভাবনাময় একটি খাত। এ খাতে যেমন কিছু সমস্যা রয়েছে, তেমনি অনেক সম্ভাবনাও রয়েছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আরও মনোযোগী হয়ে কাজ করতে হবে।’পর্যটন সংশ্লিষ্ট সমিতিগুলোকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
বিদেশী পর্যটকের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যটকদের উন্নত সেবা নিশ্চিতের ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি। পর্যটন করপোরেশন, এনবিআর, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমুহ এবং অন্যান্য অংশীজনদের নিয়ে পর্যটন খাতের ওপর সেমিনার আয়োজনের প্রস্তুতি গ্রহণে উদ্যোক্তাদের আহ্বান জানান মোঃ জসিম উদ্দিন।
এফবিসিসিআইর সহসভাপতি মোঃ আমিন হেলালী বলেন, বাংলাদেশে পর্যটন খাতে বিদেশীদের আকৃষ্টকরণ ছাড়াও দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্যও এটি একটি বড় বাজার। সম্ভাবনাময় এ খাতের শৃঙ্খলা নিশ্চিতে পর্যটন সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ সরকারি বেসরকারি সবার অংশগ্রহন জরুরি। তিনি আরো জানান, এফবিসিসিআইর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামি বছরের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিতব্য তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ বিজনেস সামিটের প্রদর্শনীতে অনেকগুলো খাত প্রাধান্য পাবে, পর্যটন তার মধ্যে একটি।
কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ এম জি আর নাসির মজুমদার তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর পর্যটন খাতের উন্নয়নে বিশেষ নজর রয়েছে বলে জানান। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশে ইনবাউন্ড ট্যুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জালাল উদ্দিন টিপু।
এছাড়া পর্যটন খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পৃথক মন্ত্রণালয় গঠন, পর্যটন খাতের বিকাশে ট্যুরিজম বোর্ডে অভিজ্ঞ ব্যবসায়ীদের অন্তর্ভুক্তি বাড়ানো, পাঠ্যপুস্তকে পর্যটন বিষয় অন্তর্ভুক্তিকরণ, জাতীয় বাজেটে পর্যটনকে প্রধান্য দেয়া, পর্যটন এলাকাগুলোর নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানান বক্তারা।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই এর পরিচালক বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, হাফেজ হারুন, আবু হোসেন ভুঁইয়া (রানু), আক্কাস মাহমুদ, সাবেক পরিচালক খন্দকার রুহুল আমিন, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, কমিটির কো-চেয়ারম্যান শিবলুল আযম কোরেশি, মাওলানা ইয়াকুব শারাফাতি, সৈয়দ গোলাম কাদির প্রমুখ।