টাঙ্গাইল জেলার ৩ উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্রসহ ৩ জন নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে, ভুঞাপুর ও বাসাইলে তিন উপজেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পোষ্টকামুরী, চড়পাড়া, দুল্যা, ইচাইল, কুরনী, শুভূল্যা ও ধল্যা নামক স্থানে পৃথক পৃথক ৮টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এসব দুর্ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্স, মালভর্তি ট্রাক, পিকআপ, প্রাইভেটকার, যাত্রীবাহী বাস, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা কবলিত হয়। এতে করে মহাসড়কে ঢাকামুখী সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে হাইওয়ে পুলিশ রেকার দিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন সরিয়ে নেয়। এতে করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুরের দুল্লা মনসুর এলাকায় একাধিক সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। এ সময় একটি পিকআপকের পিছন থেকে ঢাকাগামী দ্রুতগতির একটি বাস ধাক্কা দিলে বাসের হেলপার নিহত হয়। নিহত হেলপার মুন্না (২৮) নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার স্টেশন এলাকার আশরাফুলের ছেলে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ১০ জন।
অপরদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহসড়কের বাসাইল উপজেলার বাঐখোলা এলাকায় ঢাকাগামী মোটরসাইকেলকে একটি গাড়ি পিছন থেকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই এক অজ্ঞাতনামা মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়।
এদিকে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার তারাকান্দী-ভূঞাপুর সড়কের জগৎপুরা এলাকায় ট্রাক ও সিএনজির মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সিএনজিতে থাকা কলেজ ছাত্র ইশরাক (১৯) নিহত হয়। আহত হয় তার বাবা সোলায়মান। তাদের বাড়ি জামালপুরের সরিষাবাড়ি এলাকায়। এতে আহত হয় আরও একজন। আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহত দুইজনের লাশ গোড়াই হাইওয়ে থানায় ও একজনের লাশ ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
এ ব্যাপারে গোড়াই হাইওয়ে থানার (ওসি) মোল্লা টুটুল বলেন, মহাসড়কের পৃথকস্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছে। হতাহতদের চিকিৎসা চলছে। এসব দুর্ঘটনার ফলে মহাসড়কে ঢাকামুখী সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে দ্রুত জেলা পুলিশের রেকার দিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন সরিয়ে নেয়া হয়। এতে করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে। খবর: বাসস