প্রকাশ: বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:২১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
খুলনার পাইকগাছায় মুরগি খামারি ও ব্যবসায়ীরা প্রতিকূল সময় পার করছেন। উপজেলায় বিভিন্ন অ লের যুবকরা এক সময় খামারে মুরগি পালন করে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করেন। কিন্তু এখন পোল্ট্রি খামারের বিভিন্ন পণ্য ও খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধিতে বন্ধের উপক্রম খামার ব্যাবসা। গত বছর করোনার ক্ষতি সামাল দিতে না পেরে অনেকেই ঋণ নিয়ে ব্যাবসা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে আরও লোকসানে পড়েছেন।
অনেকেই খামার বন্ধ করে দিয়ে তাদের পেশা বদলে ফেলছেন। বেকার যুবক উদ্যোক্তা হয়ে যখন খামারের মুরগি পালন করত, তখন তার পরিবারের খরচের চাহিদা ভালভাবে মিটাতে পারতেন। কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশ খামার ব্যবসায়ী ব্যাবসা গুটিয়ে অন্য কাজের দিকে ছুটছেন। সারাদেশে খামারি পর্যায় গড়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১০৮ থেকে ১১০ টাকায়। অথচ এক কেজি ওজনের একটি ব্রয়লার মুরগি উৎপাদনে খরচ হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকা। কেজি প্রতি ২৫ টাকা লস। ২ কেজী ওজনের মুরগী হলে একটা খামারির যদি ১০০০ মুরগি চাষ করেন তার লস দাঁড়ায় (৫০গুন১০০০=৫০০০০) টাকা। এই হিসেবে দেখা গেছে শুধুমাত্র উপজেলার বাণিজ্যিক শহর কপিলমুনি ও পাইকগাছায় খামারিদের প্রতিমাসে আনুমানিক লস হচ্ছে প্রায় ১ কোটি ২৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করা যায়, দুই থেকে তিন বছর আগে যেসব বেকার যুবক বা ব্যবসায়ী খামারে সফলতা লাভ করেছেন তারা এখন চোখে ধোঁয়াশা দেখছেন। অনেকে আবার এই পেশা ছেড়ে অন্য কাজের খোছে ছুটছেন। উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের নতুন বাজারের সততা পোল্ট্রি ফিডের মালিক ও খামার ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল মিলন বলেন, ২০২১-২২ সালের তুলনায় প্রতিটি বস্তায় মুরগির খাদ্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি হয়েছে। আগে যে বস্তা আমরা ক্রয় করতাম ১৮৫০ টাকায়। এখন তার কিনতে হচ্ছে ৩২৫০-৩৩০০ টাকায়। এভাবে দাম বৃদ্ধি পেতে থাকলে ও দাম না কমলে খামার গুলো অতি দ্রুত বন্ধ হয়ে যাবে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বিষ্ণুপদ বিশ্বাস বলেন, ওষুধ এবং খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধির কারণে অনেকটা বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। দাম দ্রুত সহনীয় অবস্থায় না এলে খামার ব্যবসায়ীদের জন্য একটি দুর্বিষহ অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। দাম বৃদ্ধি পেল এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বর্তমান বাজারে সবকিছুর দাম বৃদ্ধির কারণে হয়তো দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।