বাঁহাতি স্পিনে বাংলাদেশের হয়ে ২ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম, পেসার খালেদ আহমেদ ফিরিয়ে দেন রাহুলকে।
প্রথম ওভারেই কিছু বল নিচু হচ্ছিল। তবে ভারতের ওপেনিং জুটি শুরুটা পার করে দেওয়ায় বড় রানেরই আভাস ছিল স্পষ্ট। ব্যাট করতে নেমে সতর্ক শুরু আনে ভারত। বাংলাদেশের দুই পেসার ইবাদত হোসেন ও খালেদ শুরুতে ছিলেন একদম সাদামাটা। রান পেতে কোন সমস্যা হচ্ছিল না ভারতের দুই ওপেনারের। মাঝে মাঝে কিছু বল নিচু হয়ে যাচ্ছিল, তবে তা চিন্তার কারণ হচ্ছিল না ব্যাটারদের।
প্রথম ঘণ্টা অনায়াসে পার করে দেয়ার পথে ছিল ভারত। তবে ১৪তম ওভারে বাংলাদেশকে উইকেট উপহার দেন গিল। রোহিত শর্মার বদলে খেলতে নামা এই ওপেনার ক্যাজুয়াল শটে থামান দৌড়। তাইজুলের বল স্কুপ করে পেছনের দিকে খেলতে গিয়েছিলেন। গতির তারতম্য মাথায় না নিয়ে খেলেন আলত ভাবে। সহজ ক্যাচ যায় লেগ স্লিপে দাঁড়ানো ইয়াসির আলির হাতে।
আরও পাঁচ ওভার পর দারুণ সময় আসে বাংলাদেশের। অধিনায়ক রাহুলও গিলের মতো উইকেট উপহার দিয়েই ফেরেন। খালেদের অনেক বাইরের বল আয়েশি ঢঙে খেলতে গিয়ে স্টাম্পে টেনে আনেন তিনি। ৫৩ বলে ২২ রানে বিদায় হয় তার।
পরের ওভারেই বিশাল উইকেট পায় বাংলাদেশ। ভারতের সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলিকে শিকার ধরেন তাইজুল। তার লেগ স্টাম্পে পড়ে শার্প টার্ন করা বল ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে পরাস্ত হন কোহলি। পরিষ্কার এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্ত রিভিউ নিয়েও কাজ হয়নি তার। কোহলি থামেন ৫ বলে স্রেফ ১ রান করে।
৪৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে হকচকিয়ে যাওয়া ভারতকে ভরসা দেন পান্ত। নেমেই স্বভাবসুলভ আগ্রাসী মেজাজ দেখাতে থাকেন তিনি। ২৬ বলের মধ্যে মেরেছেন ৪ বাউন্ডারি আর লং অন দিয়ে উড়িয়ে এক ছক্কা। তারসঙ্গে অন্য প্রান্তে টিকে ভরসা দিচ্ছেন পূজারা।
ভারতীয় একাদশ: লোকেশ রাহুল (অধিনায়ক), শুভমান গিল, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, ঋষভ পান্ত (উইকেটকিপার), রবিচন্দ্রন অশ্বিন, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, উমেশ যাদব ও মোহাম্মদ সিরাজ।
বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত, জাকির হাসান, ইয়াসির আলী, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, নুরুল হাসান (উইকেটকিপার), মেহেদী হাসান, তাইজুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ, এবাদত হোসেন।