প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ৯:১৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
২০০৭ সালের ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় সিডরে লণ্ডভণ্ড দেশের দক্ষিণাঞ্চল, ১৫০০০ লাশের মিছিল আর প্রায় ২৩০০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতিতে হাহাকার চারদিকে। এর কয়েক দিনের মধ্যেই এলো এক সুখবর। কোনো এক ব্যক্তি নিজের জীবদ্দশায় নাম-পরিচয় গোপন রাখার শর্তে সিডর আক্রান্তদের সহায়তার জন্য ১৩ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় বর্তমানে প্রায় ১৩০০ কোটি টাকা) দান করতে চান, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো ব্যক্তির সর্বোচ্চ দান। দেশ-বিদেশে থাকা বাংলাদেশি এমনকি সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্তাদেরও কৌতুহল ছিল, কে এই দানবীর? শর্ত অনুযায়ী পৃথিবীর শুধু ০২জন জানতেন এই দানের কথা। একজন সেই মহান দাতা, আরেকজন ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ড। দানের ৮ বছর পর ২০১৫ সালে মারা যান সেই দাতা। তখন প্রকাশ পায় বাংলাদেশের সেই অকৃত্রিম বন্ধুর নাম। তিনি আর কেউ নন, তিনি সৌদি আরবের তখনকার বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ।
বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ প্রোগ্রামের (দ্বিতীয় পর্ব) আওতায় ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) কর্তৃক নির্মিত বরগুনার তালতলী উপজেলায় ২টি স্কুলকাম সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ কাজ শেষে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাদের কাছে ভবনের চাবি হস্তান্তর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকেরক (প্রোগ্রাম) কর্মসূচি সমন্বয় অফিসের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মো. আরিফ শহিদ, বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ প্রোগ্রামের সমন্বয়ক ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মাদ রেজাউল করিম, উপজেলা প্রকৌশলী ইমতিয়াজ হোসেন প্রমুখ।