মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, নির্বাচনে যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকে তাহলে গণতান্ত্রিক চর্চা বিকশিত হয় না। সেজন্য আমরা চাই প্রতিটি দল নির্বাচনে এসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক। এজন্য প্রতিটি দলকে নিজেদের মধ্যে সংলাপের ব্যবস্থা করতে হবে। টেবিলে বসে আলোচনা করতে হবে। রাজপথে শক্তি প্রদর্শন আর কেন্দ্রে ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন এক জিনিস নয়।
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা মানুষকে নির্বাচনমুখী করেন, যেন সবাই নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী হয়। এমন একটা পরিবেশ তৈরি করেন। নির্বাচন যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক না হয় তাহলে কিন্তু প্রকৃত জনমতের প্রতিফলন ঘটে না। বিরোধ যতই থাকুক দিনশেষে আপনারা নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও অর্থবহ করে তুলুন।
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে কেউ বাধা সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এ ব্যাপারে যথাযথ দায়িত্ব পালনের আশ্বাস দিয়েছেন। এজন্য ২৭ ডিসেম্বর নগরবাসীকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহবান জানান। এদিন সিসি ক্যামেরায় ঢাকা থেকে পর্যবেক্ষণ করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাকেও নির্বাচন পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেন।
গাইবান্ধার নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এবার পুনঃনির্বাচনে দায়ী পুলিং এজেন্টরা যেন থাকতে না পারেন সেজন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।