আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২৪ ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় সম্মেলন, আমরা তাদের অনুরোধ করবো; ঢাকা শহরে অহেতুক সংঘাতের উসকানি দেবেন না।
আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুলকাদের বলেন, এবারের ব্যাপারটা বর্তমান বিশ্ব সংকটের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ যে সংকটে সেটা বিবেচনায় রেখেই সাদামাটা সম্মেলন আমরা করতে যাচ্ছি। আলোকসজ্জা আমরা একেবারে বাদ দিয়েছি। সাজসজ্জাও হবে মঞ্চ কেন্দ্রিক; সামান্য, যেটা না হলেই না কিন্তু উপস্থিতি হবে বিশাল।
তিনি বলেন, সরকারের মাথা খারাপ হয়নি তাদেরই হয়েছে। বেপরোয়া হয়ে গেছে। ১০ তারিখ সুপার ফ্লপ। সারা দেশে শান্তিপূর্ণ অবস্থান ছিল আওয়ামী লীগের। তারা কোথায় ছিল? গোলাপবাগে মিটিং করেছে। পল্টনে করবেই। করবে বললেই হয় না! ২৪ ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় সম্মেলন, আমরা তাদের অনুরোধ করবো; ঢাকা শহরে অহেতুক সংঘাতের উসকানি দেবেন না। সারাদেশ থেকে আমাদের নেতাকর্মীরা আসবে, আমরা সংঘাত চাই না। সে কারণে আপনাদের গণমিছিল কর্মসূচি বাইরে করেন। ঢাকায় গণমিছিল না করতে আমরা অনুরোধ করছি।
তিনি আরও বলেন, সংঘাত চাই না। আপনারা করা মানেই সংঘাতের উসকানি দেওয়া। আবার জামায়াতও দেখছি গণমিছিল করবে। আমরা সবার কাছে অনুরোধ করছি, এ ধরনের কর্মসূচি দেবেন না। যে সংঘাতের আশঙ্কা দেশবাসী করছে, যাদের কাছে নালিশ করেন—বিদেশিরা করছে; সংঘাত যাতে না হয় আমরা ১০ তারিখে সেভাবেই ছিলাম।
বিএনপির ঘরে গণতন্ত্র নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, আপনাদের সম্মেলন কবে হয়েছে ফখরুল সাহেব নিজেও জানে না। তারা এসেছে গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করতে। গণতন্ত্র শৃঙ্খলের মধ্যে আছে তাদের ঘরে। সেখান থেকে মুক্তি দিক, ঘরে আগে গণতন্ত্র আসুক।
দলটির দেওয়া ১০ দফা দাবির প্রসঙ্গে কাদের বলেছেন, এতে নতুন কিছু দেখছি না। এসব পুরনো বুলি তারা বারবার তোতা পাখির মতো আওড়াচ্ছে। আবার দেখি গণতন্ত্র মঞ্চের ১৪ দফা। এগুলোর কোনো মূল্য নেই। জনগণের কাছে কোনো দাম নেই। জনগণ বাঁচতে চায়। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে আমরা একটু বিপদে আছি। সে বিপদ থেকে আমরা ঘুরে দাঁড়াচ্ছি। রপ্তানি আয়-রিজার্ভ বাড়ছে। মূল্যস্ফীতি কমছে। ৯ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশে চলে এসেছে। আমরা ভালোর দিকে যাচ্ছি।