সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে। আওয়ামী লীগের দলীয় স্লোগানের বাইরে বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে একের পর এক স্লোগান দিতে থাকেন দলের নেতাকর্মীরা। দীর্ঘদিন পর দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের এমন স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে চাঙ্গা আওয়ামী লীগ। সূর্যোদয়ের কিছুক্ষণ পর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। এরপর মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ, যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী কার্যালয়ে আসেন।
এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে উপস্থিত হন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। এরপর একে একে যুবলীগ, কৃষক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কার্যালয়ে জড়ো হন। সেখানে কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান উপস্থিত রয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, আমরা পাড়া মহল্লায় পাহারাদার হিসেবে কাজ করছি। ঢাকা শহরে প্রত্যেকটি অলিগলি, রাস্তায়, মোড়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগ ও শ্রমিক লীগের ভাই-বোনেরা পাহারায় রয়েছেন। কারণ বিএনপির অভ্যাস খারাপ। দোকানপাট খোলা দেখলেই হাত দেবে। সেই জন্য জনগণের জানমাল রক্ষার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
এদিকে রাজধানীর দুর-দূরান্ত থেকে আসা নেতাকর্মীদের জন্য দুপুরে খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে যুবলীগ। প্রায় দুই হাজার নেতাকর্মীর জন্য খিচুড়ি রান্নার কাজ চলছে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে।