বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই রাজধানীর রাস্তাঘাট ফাঁকা। প্রতিটি সড়কের মোড়ে মোড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর পান্থপথ, মিরপুর রোডের কলাবাগান এলাকা, মহাখালী, মিরপুর ১, গাবতলী, উত্তরা, বাড্ডা, বনানী ও মহাখালী এলাকায় গণপরিবহন নেই বললেই চলে। এসব সড়কে বাসের জন্য যাত্রীদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
আরও দেখা গেছে, জাহাঙ্গীর গেটের আগে মহাখালী ফ্লাইওভার থেকে বিএফ শাহীন কলেজে দিকে যাওয়ার সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে রেখেছে পুলিশ। জাহাঙ্গীর গেটের আগের মোড়সহ ফার্মগেট, শেওড়া পাড়া ও বিজয় স্মরণীর মোড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
এছাড়াও, আল হেলাল ক্লিনিকের সামনে, গ্রেন সুপার মার্কেটের বিপরীত পাশে, শেওড়াপাড়া, ফার্মগেট, শাহজাহানপুর ও কুড়িল বিশ্বরোডসহ বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
এদিকে বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস। ঢাকা থেকে কোনো বাস ছেড়ে যাচ্ছে না, আবার ঢাকায় প্রবেশও করছে না। সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে দেখা যায় দূরপাল্লার বাসগুলো বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ঢাকায় বাস বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের নেই। মালিকরা হয়তো আতঙ্কের কারণে গাড়ি কম চালাচ্ছেন। এছাড়া যাত্রী না থাকায় দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকতে পারে।
এদিকে বহু নাটকীয়তার পর রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের কাছে গোলাপবাগ মাঠে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। তবে অনুমতি পাওয়ার পর শুক্রবার বিকেল থেকেই সমাবেশস্থলে জড়ো হতে শুরু করেন দলটির নেতাকর্মীরা। রাতেই প্রায় ভরে যায় গোলাপবাগ মাঠ।
এরপর আজ ভোর হতেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মীরা যোগ দিতে থাকেন সমাবেশে। এতে করে মাঠ ছাড়িয়ে সড়কে নেমেছে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি। বিএনপির নেতাকর্মীদের মিছিল আর স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। তবে সমাবেশে আসার পথে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা।