প্রকাশ: শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ১১:৩৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আজকে বিজয়ের ৫১ বছর পরে এসেও যদি এই ষড়যন্ত্র রুখতে হয় নিয়ে আলোচনা করতে হয় তাহলে এটা দুঃখজনক বিষয় ছাড়া আর কিছুই নয়। বিএনপির রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই এবং তারা অবশ্যই বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবেন যদি তারা এই বাংলাদেশকে মেনে নিয়ে জাতির কাছে ক্ষমা চায়। তার আগে তাদেরকে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৯১১তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডস আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ খান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
মুরাদ খান বলেন, আজকের ভোরের পাতা সংলাপের বিষয় রুখতে হবে ষড়যন্ত্র। আসলে আজকে বিজয়ের ৫১ বছর পরে এসেও যদি এই ষড়যন্ত্র রুখতে হয় নিয়ে আলোচনা করতে হয় তাহলে এটা দুঃখজনক বিষয় ছাড়া আর কিছুই নয়।১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বাধীনতা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করলেও ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণেই ‘বাংলাদেশ’ রাষ্ট্রের ‘স্বাধীনতা ও মুক্তি’ অর্জনের রূপরেখা তৈরি হয়েছিলো। এরপর দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এই দেশটি স্বাধীন হয়েছিল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে বার বার একটি গোষ্ঠী এই স্বাধীন বাংলায় ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। যুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু যখন দেশে ফিরে দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য এগিয়ে যাচ্ছিলেন ঠিক তখনি ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালে সপরিবারে হত্যা করলো। এরপর বাংলাদেশ ফের পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরে যেতে শুরু করলো। দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশ স্বৈরশাসকের ক্ষমতায় ছিল। এই দীর্ঘ সময় আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা মানুষের ভাত ও ভোটের জন্য, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে গিয়েছিলেন এবং এই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছিল কিন্তু ১৯৯৬ সালে। কিন্তু বিএনপির মতো দল যখনি দেশ শাসনের ক্ষমতায় এসেছিল তারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বাইরে দেশ পরিচালনা করেছিলেন। আসলে তাদের কোন আদর্শ ও লক্ষ্য ছিল না। তাদের সাথে কারা রয়েছে? তাদের সাথে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি, কিছু বাম দল ও বেশ সংখ্যক খুনি ও সন্ত্রাসীরা। আজকে এই গোষ্ঠী ফের রাজনীতির নামে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমরা তাদের ষড়যন্ত্র বার বার রুখে দিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও দিব। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের চরম শিখরে আহরণ করছে। বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাঙলার স্বপ্ন দেখেছিলেন আজকে আমরা তারই সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে দেশ এক অনন্য উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় চলে যাচ্ছে, যেখান থেকে পিছনে ফিরে তাকাবার আর কিছু নেই। আজ আমরা বিশ্বের কাছে বুক ফুলে বলতে পারি, আমরা বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি, আমরাই তার আদর্শের ধারক ও বাহক এবং তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে দিয়ে যাবো।