প্রকাশ: শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:২৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বিভিন্ন উঁচু জমিতে শুরু হয়েছে আগাম আলু চাষে স্থানীয় কৃষকের ব্যস্ততা বেড়েছে। যদিও এ অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে আলুর জমিগুলো এখনও চাষাবাদের জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠেনি। তবে কিছু কিছু এলাকায় উঁচু জমিতে আগাম আলুবীজ বপণ করতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বীরতারা, চান্দ্রার টেক, দয়হাটা, পাটাভোগ এলাকার কয়েকটি জমিতে আলুর বীজ বপণ করা হচ্ছে। এসব উঁচু জমিতে ডায়মন্ড ও কাঠিনাল জাতের আলুর বীজ বপণ করছেন কৃষকরা। নারী ও পুরুষ শ্রমিকরা জমিতে আলুবীজ বপণের কাজ করছেন। শ্রমিক সলিমউদ্দিন (৩৬), আকবর আলী (৪৫), নবীয়া বেগম, বিমলা মন্ডল (৩০) বলেন, দৈনিক ৫শ’ টাকা রোজে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত জমিতে কাজ করছেন তারা।
পাটাভোগ এলাকার শাহ আলম নামে এক কৃষক জানান, নিজস্ব ৪ কানি (৫৬০ শতাংশ) জমিতে ডায়মন্ড জাতের আগাম আলুর চাষ করবেন। এরই মধ্যে কয়েকটি জমিতে বীজ বপণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তার জমিগুলো অন্যান্য চকের জমি থেকে অনেকাংশে উঁচু হওয়ার ফলে এক মাস আগেই বীজ বপণ করতে পারছেন। তিনি বলেন, গেলো বছর ৫ কানিতে আলুর চাষাবাদ করে লোকশানের মুখ দেখেছেন। এবারও লোকশান কাটিয়ে উঠতে আলুতে লাভের স্বপ্ন দেখছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে বেশী আলুর চাষাবাদ হয় বীরতারা, আটপাড়া, তন্তর ও কুকুটিয়ায়। এসব এলাকায় বেশীর ভাগ আলু জমিতে জলাবদ্ধতার কারণে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। কারণ হিসেবে জানা গেছে, আলু মৌসুমে নিদিষ্ট সময়ে জমিতে বীজ বপণ না করা গেলে এ চাষে ফসলের কাঙ্খিত ফলন পাওয়া সম্ভব হবেনা। উজেলায় এ বছর প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে কাজ করছেন স্থানীয় আলু চাষীরা। বর্তমানে হিমাগারের বীজ আলুর বীজ (৫০ কেজির বস্তা) কেনাবেচা হচ্ছে ১৫শ’ টাকা করে।
শ্রীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শান্তনা রানী জানিয়েছেন, এ অঞ্চলের ফসলী জমির জলাবদ্ধতা নিরসণে কাজ করা হচ্ছে। রবিশস্য মৌসুমে কৃষকরা যেন তাদের জমিতে কাঙ্খিত ফসলের চাষাবাদ করতে পারে। সেই লক্ষ্যে আমরা মাঠে কাজ করছি।