বাংলাদেশ যখনি এগিয়ে যায় তখনি ষড়যন্ত্র শুরু হয়: ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২২, ১১:৩৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের মাস। আমাদের গৌরবের এবং গর্বের মাস। একটি গর্বিত জাতি হিসেবে সগর্বে মাথা উঁচু করার স্পর্ধা আমরা অর্জন করি এ মাসেই। সীমাহীন ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং আত্মদানের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রতিষ্ঠার সরল রাজপথে আমরা প্রবেশ করেছি ডিসেম্বরেই। আজকে বিজয়ের এই মাসে আনন্দঘন মুহূর্তে দাড়িয়ে আছি তখন পরাজিত একটি গোষ্ঠী যারা ১৯৭১ সালেও আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরোধিতা করেছিল তারা ফের এই মাসটাকে বেঁছে নিয়েছে ষড়যন্ত্র করবার জন্য।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৯১০তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন বলেন, ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের মাস। আমাদের গৌরবের এবং গর্বের মাস। একটি গর্বিত জাতি হিসেবে সগর্বে মাথা উঁচু করার স্পর্ধা আমরা অর্জন করি এ মাসেই। সীমাহীন ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং আত্মদানের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রতিষ্ঠার সরল রাজপথে আমরা প্রবেশ করেছি ডিসেম্বরেই। তাই জাতির কাছে ডিসেম্বর হয়ে উঠেছে বিজয়ের মাস। আজকে বিজয়ের এই মাসে আনন্দঘন মুহূর্তে দাড়িয়ে আছি তখন পরাজিত একটি গোষ্ঠী যারা ১৯৭১ সালেও আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরোধিতা করেছিল তারা ফের এই মাসটাকে বেঁছে নিয়েছে ষড়যন্ত্র করবার জন্য। যেহেতু ডিসেম্বর বিজয়ের মাস, ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ ডাকার মধ্য দিয়ে বিরোধী দল বিএনপি কী নিজেদের রাজনীতির ইতিবাচক তাঁবুতে জায়গা করে নিতে পেরেছে। এই ১০ ডিসেম্বর থেকেই ১৯৭১ সালে একটি শ্রেণি দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যার মিশনে নেমেছিল।এছাড়া ১৪ ডিসেম্বর আমাদের বুদ্ধিজীবী দিবস। ১০ ডিসেম্বর বিএনপির একটি রক্তাক্ত সহিংসতা ঘটাতে চায়-স্বাধীনতাবিরোধী ও জনবিচ্ছিন্ন দল বিএনপি তাদের সমাবেশের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ বাংলাদেশের বিজয় দিবসের পর না দিয়ে কেন ১০ ডিসেম্বর বেছে নিয়েছে, এই প্রশ্ন এখন জনমনে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তি পাগল একদল লোক দেশের জন্য যুদ্ধ করেছে, আরেক দল লোক সাহায্য-সহযোগিতা করেছে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীকে। সেই ধারা এখনো অব্যাহত আছে। সুযোগ পেলেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবার জেগে উঠবে। বাংলাদেশকে বিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত করলে কারা লাভবান হয় এটা এদেশের মানুষ এখন বুঝতে শিখেছে। সাধারণ মানুষের কথাচিন্তা করে বর্তমান সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।