পাঁচ বছরের বেশি সময় পর কক্সবাজার আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবশেষ ২০১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তিনি কক্সবাজার আসেন। প্রধানমন্ত্রী আজ (বুধবার) উখিয়া উপজেলার সমুদ্র তীরবর্তী ইনানীতে বাংলাদেশসহ ২৮টি দেশের নৌবাহিনী ও উপকূলীয় সংগঠনগুলোর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৪ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ফ্লিট রিভিউ-২০২২ এর উদ্বোধন করবেন।
ওই অনুষ্ঠান শেষে দুপুর ২টায় কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। জনসভা মঞ্চ থেকে তিনি কক্সবাজারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনে ১৯৬৩.৮৬ কোটি টাকার ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
প্রকল্পের নথি অনুসারে জানা গেছে, ১৯৬৩.৮৬ কোটি টাকার মধ্যে ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্প ১৩৯২.৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে এবং আজ চালু করা চারটি প্রকল্পের জন্য ৫৭১.৪৯ কোটি টাকা প্রাক্কলন করা হয়েছে।
বুধবার কক্সবাজারে উদ্বোধনের অপেক্ষায় ২৯টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে বকখালী নদী বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন, সেচ ও ড্রেজিং প্রকল্প (প্রথম পর্যায়), শাহপরীর দ্বীপে সি ডাইকে বাঁধ পুনর্নির্মাণ ও সুরক্ষা কাজ, ক্ষতিগ্রস্ত পোল্ডার পুনর্বাসন প্রকল্প, লিংক রোড-লাবনী ক্রসিং রোডকে চার লেনে উন্নীতকরণ, রামু-ফতেখারকুল-মারিচ্যা মহাসড়কের প্রশস্তকরণ এবং উপযুক্ত গুণমান নিশ্চিতকরণ, টেকনাফ-শাহ পরীর দ্বীপ জেলা মহাসড়ক হাড়িয়াখালী থেকে শাহ পরীর দ্বীপ পর্যন্ত পুনর্গঠন, প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ। রামু কালঘর বাজার-রাজারকুল ইউপি সড়কের বকখালী নদীর ওপর ৩৯৯ মিটার দীর্ঘ সংসদ সদস্য ও রাষ্ট্রদূত ওসমান সরওয়ার আলম সেতু, নবনির্মিত ছয়টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস ভবন, রামু উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন, টেকনাফ উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন, মহেশখালী উপজেলা পরিষদ ভবন, উখিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, বিমানবন্দর সড়ক আরসিসি তৈরি ও অন্যান্য কাজ, শহীদ সরণি আরসিসি তৈরি ও অন্যান্য কাজ, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম রোড আরসিসি ও অন্যান্য কাজ, নাজিরারটেক শুটকি মহল রোড ও অন্যান্য কাজ, টেকপাড়া রোড আরসিসি তৈরি ও অন্যান্য কাজ, সি বিচ রোড আরসিসি তৈরি ও অন্যান্য কাজ, মুক্তিযোদ্ধা সরণি আরসিসি তৈরি ও অন্যান্য কাজ, সৈকত-সরন আবাসিক তৈরি, কক্সবাজার পৌরসভায় এরিয়া রোড আরসিসি ও অন্যান্য কাজ, কক্সবাজার গণপূর্ত পার্ক, বাহারছড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা মাঠ, কক্সবাজার জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় ভবন, শেখ হাসিনা জোয়ারিয়ানলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবনির্মিত চার তলা একাডেমিক ভবন, নবনির্মিত চার তলা বিশিষ্ট শিক্ষা ভবন, আব্দুল মা’বুদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে চার তলা একাডেমিক ভবন, মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবনির্মিত চার তলা একাডেমিক ভবন, কুতুবদিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, পেকুয়া উপজেলা ভূমি অফিস ভবন এবং কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির অ্যানেক্স ভবন।
আজ যে চারটি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হবে সেগুলো হলো- বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রকল্প (২য় পর্যায়), ধুরং ঘাটে ১৫৩.২৫ মিটার দীর্ঘ জেটি এবং ধুরং জিসি মিরাখালী রোডের আকবর আলী ঘাটে আরেকটি ১৫৩.২৫ মিটার দীর্ঘ জেটি নির্মাণ। কুতুবদিয়া উপজেলা, মহেশখালী গোরকঘাটা ঘাটে জেটি নির্মাণ এবং কক্সবাজার জেলার বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়াতে উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত নাফ নদীর ধারে (৬৭/অ, ৬৭, ৬৭/ই এবং ৬৮) পোল্ডার পুনর্বাসন।