প্রকাশ: রোববার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ৯:২৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের আসন্ন ৩০ তম সম্মেলনে এবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদ প্রত্যাশী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন হাফ ডজনের ও বেশি নেতা। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায় এরই মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে মোট ৯ জন ছাত্রলীগ নেতা।
জানা যায়, এর মধ্যে সভাপতি পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের বর্তমান সহ-সভাপতি ও জবি ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক জামাল উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ প্রচার সম্পাদক আল আমিন শেখ, আব্দুল্লাহ শাহীন, জবি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ- নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক তারেক আজিজ, উপ-সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আফসার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক আদম শফিউল্লাহ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক অমিত দাস, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মোল্লা আনোয়ার হোসেন সজীব, জবি ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঋত্তিক বাহাদুর ঋতু ও সাংগঠনিক সম্পাদক জিনিয়া আফরিন।
এদিকে এবারে বেশ গুঞ্জন উঠেছে শুধু সব সময়ের মত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই নয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃত্ব আসতে পারে ঢাবির বাইরে থেকেও। আওয়ামীলীগ এর দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, 'নেতৃত্ব বাছাই এর ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান নয় প্রাধাণ্য পাবে যোগ্যতা ও মেধা।' যার ফলে জবি থেকে পদ প্রত্যাশী নেতারাও নিজেদের অবস্থান নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। পদ প্রত্যাশী নেতাদের দাবি শুধু ঢাবি কেন্দ্রীক না হয়ে অন্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর দিকে তাকালেও যোগ্য নেতৃত্ব যাচাই করা সম্ভব।
সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী তারেক আজীজ বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০ সম্মেলনে আমি চাই এমন নেতৃত্ব আসুক যিনি দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি শেষ করে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে নিজের সততা কর্মদক্ষতা দিয়ে সবাইকে সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, সামনের নির্বাচনে যার নেতৃত্বে সংগঠন দৃঢ় ও সুসংগঠিত থাকতে পারবে। আমাদের সাংগঠনিক নেত্রী, জননেত্রী দেশরত্নের কাছে আমি বিশেষভাবে অনুরোধ করব তিনি যেন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা যোগ্য নেতৃত্বের দাবিদার আছে তাদের বিষয়টি বিশেষভাবে চিন্তা করেন, এতে সংগঠন বিকেন্দ্রীকরণ এর মাধ্যমে সংগঠন আরো গতিশীল হবে।
আরেক পদ প্রত্যাশী নেতা আল আমিন শেখ বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। কিন্তু কালের পরিক্রমায় মেধার বিকাশের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় ছাড়াও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এখন বিশ্বমানের, যেগুলো জাতীয় ছাত্ররাজনীতির যোগ্য নেতৃত্ব তৈরিতে প্রতিশ্রতিবদ্ধ কিন্তু দুভাগ্যক্রমে এই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্য ছাত্র নেতৃত্ব থাকার পরেও যুগ যুগ ধরে ইগোএস্টিক সমস্যার কারণে কেবল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেই নেতৃত্বের আধার বলে বিবেচনা করে থাকে, যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে তবে জাতীয় রাজনীতিতে একদিন যোগ্য নেতৃত্বের সংকটে পরবে।