টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে তাবলীগ জামাতের এক পক্ষের অবৈধ জামায়েত ও জোড়কে কেন্দ্র করে আবার নতুন করে উত্তেজনা তৈরী হয়েছে। আসন্ন বিশ্ব ইজতেমাকে সামনে রেখে কোন একপক্ষের অবৈধ হস্তক্ষেপ আবারো বিশ্ব ইজতেমার ঐতিহ্যকে ম্লান করতে পারে।
আগামি ১৩ ও ২০ জানুয়ারী তাবলীগ জামাতের দ্বিধাবিভক্ত দুই পক্ষের আলাদা আলাদা ইজতেমার সিদ্ধান্ত হয় সরকারের পক্ষ থেকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের ঐ বৈঠকে ইজতেমার পূর্বে কোন পক্ষেরই ইজতেমার ময়দানে অন্যকোন জামায়েত না করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এছাড়া গত দুই বছর করোনার কারণে বিশ্ব ইজতেমা না হওয়ায় সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু সংস্কার কাজের কথাও জানানো হয়।
এ প্রেক্ষিতে বিদেশি মেহমান ও ৩চিল্লার দুই লক্ষাধিক তাবলীগ সাথীদের নিয়ে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি হিসাবে তাবলীগের মূলধারার সাথীরা কেরানীগঞ্জে বিশাল জোড়ের আয়োজন করে। এই জোড়ে তাবলীগ জামাতের বিশ্ব মারকাজ দিল্লীর নিজামুদ্দিনের প্রবীণ মুরুব্বিগন ও উলামায়ে কেরাম বয়ান করেন। গত ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই জোড় ৩রা ডিসেম্বর শনিবার আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হবে।
এদিকে গত ১লা ডিসেম্বর থেকে তাবলীগ জামাতের যুবায়েরপন্থী গ্রুপ সরকারী এই নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করো আবারো ময়দানে জোড় ইজতেমার আয়োজন করে। এতে করে তাবলীগের অপরপক্ষের সাথীদের পক্ষ থেকে গতকাল আপত্তি জানানো হয়। তারা মনে করছেন, এক পক্ষের এমন অবৈধ জামায়েত আগামি বিশ্ব ইজতেমার পরিবেশকে বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র। হেফাজতে ইসলাম সমর্থনে এমন আয়োজনকে রাজনৈতিক কূটচাল বলে অবিহিত করেছেন টঙ্গীর স্থানীয় একাধিক তাবলীগের সাথী।
এবিষয়ে তাবলীগের উভয় পক্ষের মুরুব্বিদের সাথে ফোনে কথা বলতে চাইলে তারা মিডিয়ার সামনে এনিয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক তাবলীগের সাথী এই প্রতিবেদককে জানান, তাবলীগের এক পক্ষকে জোড় করতে না দিয়ে অপর পক্ষের ইজতেমার ময়দানে জোড়ের নামে জামায়েত বন্ধ না করায় তাবলীগ জামাতের মধ্য নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে। বিষয়টি প্রসাশন বন্ধ করে দিয়ে উভয় পক্ষের সাথে সমান লিয়াজো ও আচারণ করা প্রয়োজন। নতুবা রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট তাবলীগ জামাতের জুবায়ের গ্রুপের অবৈধ এসব হস্তক্ষেপ ও এমন উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি ২০১৯ সালের পহেলা ডিসেম্বরের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারে।