‘সরকার টাকা পাচার করেছে বাইরে’ গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বানরে সংগীত গায়, শীলা জলে ভাসে। কামাল হোসেন সাহেব রাজনীতির রহস্য পুরুষ। ৭১ সালে বঙ্গবন্ধু যখন পকিস্তানিদের হাতে গ্রেফতার হন তখন কামাল হোসেন ইন্টারকন্টিনেটাল হোটেলের সামনে গাড়ী থেকে নেমে হোটেলে ঢোকেন। তারপর তার আর খবর নেই। আমরা খবর পেলাম তিনি পকিস্তানে চলে গেছেন। পাকিস্তানে পলায়ন, ভাইরে আমরা পালাই নাই। আপনি পরে বঙ্গবন্ধুর দয়ায় সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছিলেন। আজকে কামাল হোসেন অর্থ পাচারের কথা বলে।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের যৌথ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কামাল হোসেন সাহেব কি করেছেন, কালো টাকা সাদা করেছেন। আপনি অর্থ পাচার করেন, তারেকের নাম বলেন না। নিজে অর্থ পাচার করেন, আপনার ইহুদী জামাতার মাধ্যমে শত কোটি টাকা পাচার করেছেন। কত টাকা পচার করেছেন দেশের মানুষ জানতে চায়। ড. কামাল হোসেন আপননি ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছেন। ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে আদালতে গিয়ে তারপর আদেশ নিয়ে ট্যাক্স জমা দিয়েছেন। ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছেন কামাল হোসেন। তিনি এখন শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে বড় বড় কথা বলেন।
তিনি বলেন, পালাবে তারেক রহমানরা, কামাল হোসেন সাহেব আমরা তো জানতাম আপনার পকেটে সব সময় একটা ভিসা থাকে। সব সময় ভিসা থাকে কামাল হোসেন সাহেবের পকেটে সাংবাদিকরাও জানেন। হঠাৎ হঠাৎ বিদেশে চলে যান দলের লোককেও বলে না।
বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, সমাবেশের নামে যদি কোনো বিশৃঙ্খলা করা হয়, কোনো সহিংসতা করা হয়, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দেবে। তারা এখন জঙ্গিদের মাঠে নামিয়েছে খবর আছে। অস্ত্রবাজদের মাঠে নামিয়েছে। আমাদের কাছে খবর আছে বস্তায় বস্তায় টাকা আসে দুবাই থেকে, টাকা আসে, হায়রে টাকা।
তিনি বলেন, আগুন নিয়ে খেলা শুরু হয়ে গেছে। খেলা হবে আন্দোলনে, খেলা হবে নির্বাচনে, ডিসেম্বরে খেলা হবে। আপনারা সমাবেশ করবেন সুশৃঙ্খলভাবে, মারামারি নয়। তবে পাল্টা আক্রমণ হলে আমরাও পাল্টা আক্রমণ করব কি-না সেটা সময় বলে দেবে।
তিনি আরও বলেন, গত পরশু মতিঝিলে বিআরটিসি বাস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা জানান দিয়েছে যে, আবার তারা ফিরে আসছে। আমাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রত্যেক ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সতর্ক পাহারা দিতে হবে।
সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহম্মদ মোহাম্মদ মান্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। খবর: বাসস