প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২২, ২:১৩ পিএম আপডেট: ০১.১২.২০২২ ২:১৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে চেক প্রত্যাখ্যানের মামলা নিতে বাধা কাটল। চেক প্রত্যাখ্যানের মামলা নিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন তা ২ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
চেক ডিজঅনার মামলায় বিচারিক আদালতে দণ্ডিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের বরাইল গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলীসহ তিনজনের আপিল মঞ্জুর করে ২৩ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন। এই রায় স্থগিত চেয়ে ব্র্যাক ব্যাংক আপিল বিভাগে পৃথক তিনটি আবেদন করে, যা ২৮ নভেম্বর চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন চেম্বার আদালত আবেদনগুলো ১ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হয়।
আদালতে ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী। মোহাম্মদ আলীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লা আল বাকী।
পরে আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী বলেন, নির্দেশনাসহ হাইকোর্টের দেওয়া রায় দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায় স্থগিত হওয়ায় চেক প্রত্যাখ্যানের মামলা গ্রহণে আইনগত বাধা নেই। চেক ডিজঅনার মামলাগুলো আগে যেভাবে চলছিল, সেভাবেই চলবে। শিগগিরই হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত লিভ টু আপিল করা হবে।
২৩ নভেম্বর হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে চেক প্রত্যাখ্যান মামলা গ্রহণকারী সব বিচারক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি কয়েক দফা নির্দেশনা রয়েছে।
রায়ে বলা হয়, ‘আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে গৃহীত চেক বিনিময়যোগ্য দলিল নয়। এমন চেক প্রত্যাখ্যানের মামলা গ্রহণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো। আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে গৃহীত চেক হতে উদ্ভূত চেক প্রত্যাখ্যান নিয়ে ইতিমধ্যে দাখিল করা সব মামলার কার্যক্রম এখতিয়ার বহির্ভূত বলে বাতিল ঘোষণা করে বিচারিক আদালত খারিজ করবেন। একইভাবে আপিল আদালতও আদেশ প্রদান করবেন।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি দেওয়া নির্দেশনায় বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রতিটি ঋণের বিপরীতে ইনস্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা জারি করবে।