প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২২, ১১:৪৩ এএম | অনলাইন সংস্করণ
১০ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা থেকে রাজশাহী বিভাগে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
আজ সকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হলেও গতকাল রাত থেকেই আন্তজেলা অনেক বাস রাজশাহী থেকে ছাড়েনি। যদিও আজ সকালে ঢাকাগামী অন্তত তিনটি বাস রাজশাহী থেকে ছেড়ে গেছে। তবে সেগুলোতে যাত্রী কম ছিল। সকাল আটটার পর রাজশাহী থেকে আর কোনো বাস ছাড়তে দেখা যায়নি। অন্য জেলা থেকেও কোনো বাস রাজশাহীতে ঢুকছে না।
এদিকে পরিবহন ধর্মঘটে বাস না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন দূরপাল্লার যাত্রীরা। অনেকেই পরিবহন ধর্মঘটের বিষয়ে কিছু জানেন না।
বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাসের চালক ও চালকের সহকারীদের অলস সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে আবার গাড়ি ধোঁয়ামোছা করে সময় পার করছেন। সকালে নগরের কাজলা এলাকায় রাস্তার পাশে বাস পরিষ্কার করছিলেন এস এস ট্রাভেলসের কর্মচারী মো. সিরাজ। তিনি বলেন, ‘আজ থেকে বাস ধর্মঘট শুরু হয়ে গেছে। এ জন্য বাসটি পরিষ্কার করে রাখছি। কয়েক দিন তো আর বাস চালাতে পারব না।’
নগরের শিরোইল এলাকায় এ এইচ এম কামারুজ্জামান বাস টার্মিনালে গিয়েও একই চিত্র দেখা গেল। বাসের শ্রমিকেরা রোদে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছেন। টার্মিনালের ভেতরে ও বাইরের রাস্তায় আন্তজেলার বাসগুলো দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। বাসচালক মো. তপন ইসলাম বলেন, ‘গতকাল বিকেল থেকেই কিছু রোডের ধর্মঘট শুরু হয়ে গেছে। তানোরে বিকেল থেকে বাস চলছে না। আগামী কয়েক দিন আর কোনো কাজ নেই। ধর্মঘট দেখতে টার্মিনালে আসছি।’
তবে ধর্মঘটের কারণে কয়েক দিন কোনো আয়-রোজগার হবে না বলে আক্ষেপের কথা জানালেন তপন। তিনি বলেন, ‘মালিক সমিতি ধর্মঘট ডাকলেও আমাদের কোনো টাকা দেওয়া হয় না। এখন শ্রমিক ইউনিয়ন যদি কিছু করে।’
এর আগে মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধ করাসহ ১০ দফা দাবিতে গত শনিবার ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দেয় পরিবহন মালিক সমিতি। পরে সমিতির ১০ দফা দাবি পূরণের জন্য রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারসহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনকে চিঠি দেন তাঁরা। কোনো আশ্বাস না পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় মালিক সমিতি।
তবে বিএনপি বলছে, অন্যান্য গণসমাবেশের মতো রাজশাহীর গণসমাবেশে মানুষকে আসতে বাধা দিতে এই পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার বলেন, দেশের অন্যান্য বিভাগের মতো এখানেও ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। তবে গতকালই বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী রাজশাহী পৌঁছে গেছেন। ধর্মঘট উপেক্ষা করে আজও নেতা-কর্মীরা আসছেন। ধর্মঘট ডেকে বিএনপির সমাবেশে লোকসমাগম ঠেকানো যাবে না।