প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২২, ৮:৫৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
প্রায় তিন মাস ধরে বাংলাদেশ-মিয়ানমার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ঘুমধুম থেকে পাইনছড়ি পযর্ন্ত বারবার যুদ্ধ দেহি মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছিল মিয়ানমার জাম্তা সরকার। তাই সেদেশের সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন যুদ্ধ বিমান,ফাইটার হেলিকপ্টা, একে ৪৭ এর গুলি, মটারসেল, আন্তর্জাতিক নিয়ম কানুনকে তোয়াক্কা না করে বাংলাদেশের সীমানা ক্রস করে দেশের অভ্যন্তরে এসেছে বহুবার, ফলে হতাহতের ঘটনাও ঘঠেছে। গোলযোগ পূর্ণ ঘুমধুমের তমব্রু থেকে দৌছড়ির পাইনছড়ি পযর্ন্ত ৫২ কিলোমিটার এলাকার কোথাও মিয়ানমারের ভিতর থেকে আর গোলাবারুদ কিংবা বিস্ফোরণের শব্দের আওয়াজ নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা কেঁপে ওঠার খবর নেই গত ২০ দিন ধরে।
এখন সীমান্ত এলাকার হাজার হাজার মানুষ আগের মত স্বরূপে ফিরেছে তাদের নিজ নিজ কর্ম তৎপরতায়। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পযর্ন্ত ক্ষেত খামারের কাজ, সীমান্তের কাছাকাছি থাকা বিভিন্ন প্রকার ব্যাবসায়ীক ছোট ছোট প্রতিষ্টান গুলো আগের মত স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত নির্ভয়ে হচ্ছে।
তমব্রুর ব্যাবসায়ী মোঃ সরোয়ার জানান,মিয়ানমারের ভিতর থেকে বিস্ফোরিত বিভিন্ন গোলাবারুদের আওয়াজে আমাদের এলাকা ভূমিকম্পের মতো কেঁপে উঠেছে অসংখ্যবার কিন্তু গত কিছুদিন ধরে ওইসব আওয়াজ বন্ধ হয়ে যাওয়াতে স্বস্তি এসেছে আমাদের মনে। চাকঢালা আমতলী এলাকার স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ফরিদ জানান উদ্বেগ উৎকণ্ঠ এখন আর নেই তার এলাকাতে।
জামছড়ির রহমান জানান একেবারেই নিরব হয়ে গেছে তাদের সীমান্ত এলাকা সে কারণে সীমন্তের কাছাকাছি থাকা লোকজন তাদের জীবনযাত্রায় এসেছে আগের মত ছন্দ।
সীমান্ত সড়কের কাজে নিয়োজিত অনেকে জানিয়েছেন, সীমান্ত দিয়ে সে দেশের অভ্যন্তরে মিয়ানমারের বাহিনী ও তাদরে বিদ্রোহীদের দমনে চলা যুদ্ধে ব্যবহারিত মর্টরশেল এবং গোলা বর্ষণের বিকট শব্দ ও বিস্ফোরণের আওয়াজে অনেকদিন বন্ধ থাকার পর এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়াতে সীমান্ত সড়কের কাজ পুনরায় শুরু হয়েছে।