প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২২, ৮:৪৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
চলছে অগ্রহায়ণ মাস, মাঠভরা আমন ধানের যৌবনিকা টানতে না টানতেই সরিষা বীজ বপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। ধানের পাশাপাশি সরিষা থেকে অতিরিক্ত অর্থ পাওয়া যায় বলে অধিকাংশ জমিতেই করা হয় সরিষার আবাদ। কেউ কেউ আমন ধান কেটে বাড়িতে এনে মাড়াইয়ের এর কাজে ব্যস্ত।
আজ মঙ্গলবার মাগুরার শালিখা উপজেলার শতখালী, আড়পাড়া, ধনেশ্বরগাতী, শালিখাসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, আমন ধান কাটা শেষ না হতেই সরিষার বীজ বপন করেছন অনেকেই। তবে কোথাও কোথাও সরিষার বীজ বপনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে জমিগুলো, কোথাও আবার সরিষার চারা ৩-৫ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে নতুন ধান ঘরে তুলেই অনেক এলাকায় ঘরোয়া পরিবেশে করা হচ্ছে নবান্নের উৎসব। নতুন ধানের মো মো গন্ধে সুভাষিত পুরো এলাকা। ধানের দাম একটু বেশি থাকায় কৃষকের মুখে সোনালী ফসলের অকৃত্রিম হাসি বিরাজমান।
মাগুরার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের চাষী নজরুল ইসলাম জানান, এ বছর ৮ বিঘা জমিতে আমন ধান লাগিয়েছিলাম যা কেটেই সরিষা বীজ বুনে দেওয়া হয়েছে আশা করছি সরিষা থেকেও ভালো ফলন পাব। এছাড়াও বুনাগাতী ইউনিয়নের সরিষা চাষী মোগরব মোল্লা জানান, এবছর ৫ বিঘা জমিতে সরিষার বীজ বপন করেছি আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তাহলে সরিষা থেকে মোটামুটি একটি ভালো অর্থ পাব যা দিয়ে পরিবারের ভরণপোষণ জোগাতে পারব বলে আশা করছেন তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় গত বছর ৩ হাজার ৬ শত ৮৯ হেক্টর জমিতে জমির সরিষা থেকে হেক্টর প্রতি ১.২ মেট্রিক টন ফলন হয়েছিল তবে এ বছর ৪ হাজার ৮ শত ১০ হেক্টর জমিতে সরিষার বীজ করা হয়েছে এখন পর্যন্ত যেখানে হেক্টর প্রতি ১.৩ মেট্রিকটন ফলন হবে বলে আশা করছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, প্রতিটা আবাদে কৃষকদের ভালো ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে সার, বীজ, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ প্রতিনিয়ত নানাবিধ পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।