প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২২, ৮:৪১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার পাকুটিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত সাক্ষীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ১০ বছরেও নিজস্ব সড়ক ও ভবনের উন্নয়ন হয়নি। বসত বাড়ির উপর দিয়ে বিদ্যালয় প্রধান সড়ক হওয়ায় বিড়ম্বনায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও পুরোনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। শিক্ষক সংশ্লিষ্ট তথ্যমতে, বিদ্যালয়ের নিজস্ব ভূমি বেদখল রয়েছে ও নতুন ভবন নির্মাণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একটি শিক্ষক রুম ও ৩ টি শ্রেণীকক্ষ দিয়ে চলছে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম। বিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী সাদিয়া জানায়, এখানে টিনের চাল দিয়ে পানি পড়ে। একজন দপ্তরী নাই। চলাচলে সড়ক নাই। সব মিলিয়ে আমাদের ক্লাস করতে কষ্ট হয়।
সাক্ষীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ হলে শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়বে। উপজেলা শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে জমির পরিমাপ হয়েছে। এখনো উন্নয়নের অগ্রগতি নেই। স্থানীয় চেয়ারম্যান সড়ক নির্মাণের ব্যাপারে উদ্যোগ নিলেও জায়গা জটিলতায় সেটি সম্ভব হয়নি। এখন অতিদ্রুত নতুন ভবন ও সড়ক নির্মাণের জোরদাবী জানাচ্ছি।
উক্ত বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন জানায়, এই বিদ্যালয়ে তেমন কোনো উন্নয়ন বরাদ্দ এখনো আসেনি। বৃষ্টির দিনে চাল দিয়ে পানি পড়ে। চলাচলের সড়ক নাই। ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছি আমরা। এ বিষয়ে মাননীয় এমপি মহোদয়ের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
গত ১০ বছরেও বিদ্যালয়ের উন্নয়ন হয়নি প্রসঙ্গে নাগরপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার আঞ্জুমান আরা বীথি মুঠোফোনে বলেন, এ বিষয়ে আমি এখন মন্তব্য করবো না। পরে করবো মন্তব্য এবং সড়কের বিষয়ে বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিষয় এটি।
পাকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান জানায়, এই বিদ্যালয়ে পায়ে হাটার সড়ক আমি করেছি। এখন যানবাহন যাওয়ার সড়ক নির্মাণে পদক্ষেপ নিতে হবে। নতুন ভবন নির্মাণে যে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন আমাদের পক্ষ থেকে করা হবে। কিছু জায়গা বেদখল হয়ে রয়েছে, সেটি ইউএনও মহোদয়ের সাথে সমন্বয় করে উদ্ধার করা হবে।
নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ওয়াহিদুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। বিদ্যালয়ে সড়ক ও ভবন প্রয়োজন হলে সেটির জন্য বিধি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় উন্নয়নের বিষয়ের প্রয়োজনীয় তদারকি করা হবে। প্রতি বছর সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রীক বিভিন্ন বরাদ্দ থাকে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।