বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা আ.লীগের সতর্কতায় বিফল: তথ্যমন্ত্রী   সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে কাজ করছে সরকার: কাদের   নাটোরে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ জনের মৃত্যু   ‘কিছুই করি নাই শ্রেণিটা’ চোখ থাকতেও দেখে না: প্রধানমন্ত্রী   রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম: পরীমনি   সৌদি আরবের ক্লাবে যোগ দিলেন রোনালদো   বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
মাসব্যাপী বাউত উৎসবে মেতেছে শৌখিন মাছ শিকারিরা
তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২২, ৮:৩৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

চলনবিল অধ্যাষিতু সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী ‘বাউত উৎসবে’ মেতেছেন শৌখিন মাছ শিকারিরা। অনেকে ‘পলো উৎসব’ নামেও চেনেন। কুয়াশাঢাকা ভোরের হিমেল হাওয়া জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। হেমন্তের কাকডাকা ভোরে পলো, বেসাল, বাদাই জালসহ মাছ ধরার নানা উপকরণ নিয়ে চলনবিলে গোমানি নদীতে ছুটে আসছেন দূর দূরান্তের শৌখিন মৎস্য শিকারিরা। লোকজ রীতিতে হৈ হুল্লায় বিলের জলে মনের আনন্দে চলছে মাছ শিকার। 

সরজমিনে দেখা যায়, চলনবিল অধ্যাষিতু তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের ধামাইচ, নওখাদাঁ, কুন্দইল,কাটাবাড়ি খালে এ উৎসবে শত শত মাছ শিকারি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একসঙ্গে মৎস্য শিকার করছেন। তাদের হাতে ছিল পলো, চাক পলো, নেট পলো, ঠেলা জাল, বাদাই জাল, লাঠি জালসহ মাছ ধরার নানা সরঞ্জাম। বিলপাড়ে সমবেত হওয়ার পর একসঙ্গে বিলে নেমে মাছ ধরার আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেন শিশু-কিশোর, যুবক, বৃদ্ধসহ নানা বয়সী মানুষ। শৌখিন মাছ শিকারিরা একত্রিত হয়ে সারিবদ্ধভাবে বিলে পলো, ঠেলাজাল, বেরজাল দিয়ে মাছ শিকার করেন।  এ সময় দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ শোল, বোয়াল, গজার, রুই, কাতলা, চিতল, পুঁটি, খৈলসা, শিং, টেংরা, পাবদা মাছ ধরা পড়ে। দুপুরের দিকে মনে বেশ আনন্দ নিয়ে গন্তব্যস্থানে ফিরে যান শিকারিরা।  

বাউত উৎসবের মৎস্য শিকারী মোঃ আলম সেখ জানান, তারা গ্রামের শিশু,কিশোর,যুবক ও বয়স্করা মিলে প্রতি বছর শখের বসে মাছ শিকারের জন্য আসেন। এখানে অনেক আনন্দ হয়। মাছ কেউ পাই আর নাই বাউতের একটা উৎসব হয়। এজন্যই আমরা আসি। 

মোঃ আনিছ মন্ডল জানান, দল বেঁধে মাছ ধরার এ আয়োজনে মৎস্য শিকারিদের ডাকা হয় বাউত। তাদের ঘিরেই উৎসবের নামকরণ। ভোরের আলো ফুটতেই বিলা লের পূর্বনির্ধারিত এলাকায় দলবেঁধে মাছ শিকারে নামেন বাউতেরা। কার্তিক মাসের শেষে শুরু হয়ে বিলে পানি থাকলে তা চলে পৌষ মাস পর্যন্ত। শতশত মানুষ একসঙ্গে মাছ ধরার আনন্দই আলাদা। মাছ সবাই পায় না। একজন পেলে আনন্দ ভাগাভাগি করেন সবাই। কে মাছ পেল আর কে পেল না, তা নিয়ে কোনো দুঃখ নেই কারো। প্রতিবছর আনন্দের জন্য, মাছ ধরার জন্য, এ সময়টার অপেক্ষায় থাকেন তারা।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]