নিজামুদ্দিন মারকাজের চাবি মাওলানা সাদের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের
প্রকাশ: সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২২, ৯:৪৫ পিএম আপডেট: ২৮.১১.২০২২ ৯:৪৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ভারতের নিজামুদ্দিন মারকাজের তাবলীগ জামায়াতের ওপর ২০২০ সাল থেকে আরোপ করা পুলিশের নিষেধাজ্ঞা খারিজ করে দিয়েছে দেশটির উচ্চ আদালত। সেইসঙ্গে মারকাজের চাবি অবিলম্বে মাওলানা সাদের কাছে হস্তান্তরের আদেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার পুলিশকে এ আদেশ দেওয়া হয়।
চলতি বছরের মার্চ মাসে রমজান মাসে মসজিদের পাঁচ তলায় নামাজের অনুমতি দিয়েছিল আদালত। এরপর ২০২০ সালের পর মে মাসে প্রথমবারের মতো রমজান মাসের পরেও জনসাধারণের প্রবেশের অনুমতি দেয় আদালত। বিষয়টি শুধু নামাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। ফলে মারকাজের সঙ্গে সংযুক্ত মাদ্রাসা ও হোস্টেল বন্ধ এতদিন। আদালতের নির্দেশর ফলে নিজামুদ্দিন মারকাজ আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরবে।
বিচারপতি জসমিত সিং গতকাল নির্দেশনায় জানান, নিজামুদ্দিন মারকাজের যে চাবিগুলি যার কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল তার কাছেই হস্তান্তর করতে হবে। আদালত পুলিশের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে দখল নিয়েছেন সেই ব্যক্তিকে দখল ফিরিয়ে দেন।’ পুলিশ পাল্টা যুক্তি দেখিয়ে বলার চেষ্টা করেছে ‘যে আসল অধিকারী সম্পত্তির নিয়ন্ত্রণ নিতে এগিয়ে আসেনি। এটি দিল্লি ওয়াকফ আইনের অধীনে নেওয়া হয়েছে। এটার দখল নেওয়ার জন্য মুতাওয়ালিকেই এগিয়ে আসতে হবে। তাকেই আবেদন করতে হবে দিল্লি ওয়াকফ বোর্ড নয়।
আদালত পুলিশকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘আপনি কি দখলে আছেন? আপনি কোন ক্ষমতায় দখল করেছেন? মহামারী রোগ আইনে এ সম্পর্কিত এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছিল, তা এখন শেষ হয়েছে।’
আদালত দিল্লি পুলিশকে বলেন, ‘আপনি যদি মহামারী রোগ আইনের অধীনে একটি সম্পত্তি গ্রহণ করেন এবং একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেন, তবে সেই সময়ে যার দখলে ছিল, তাকে দখল ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য মামলা করতে হবে?’
এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ জানায়, মাওলানা সাদের কাছ থেকে ‘দখল নেওয়া হয়েছে’। তবে তিনি পলাতক ছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে। মারকাজ ম্যানেজমেন্টের প্রতিনিধিত্বকারী কৌঁসুলি বলেছেন, সাদ নিজামুদ্দিনেই আছেন এবং পলাতক নন এবং পুলিশের কাছে হাজির হবেন।
হাইকোর্ট পুলিশকে প্রশ্ন করার পরে, দিল্লি পুলিশের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী দাখিল করেছেন যে ক্ষতিপূরণ বন্ড প্রদানের জন্য সম্পত্তি তার কাছে হস্তান্তর করতে কোনও আপত্তি থাকবে না। আদালত আরও বলেছে যে এই উদ্দেশ্যে কোনও নথি জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।