প্রকাশ: সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২২, ৯:০৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সম্প্রতি মোংলা বন্দরের বহিনঙ্গোরে অবস্থানরত দুটি জাহাজে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে ক্ষুব্ধ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও। তবে নিরপত্তা প্রহরী না থাকায় এই চুরির ঘটনা বলে অভিযোগ উঠেছে। নিরপত্তা প্রহরী থাকলে এ ধরনের চুরি সম্ভব না বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
জানা গেছে, মোংলা বন্দরে আগত-নির্গত পণ্যবাহী জাহাজে ওয়াচম্যান (নিরাপত্তা প্রহরী) সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন। ১৯৮৭ সালের ত্রি-পক্ষীয় চুক্তি এবং বন্দরের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী বন্দরে আগত-নির্গত জাহাজে ওয়াচম্যান নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু বন্দরের বহিরনোঙ্গরে (ফেয়ারওয়ে) অবস্থান নেয়া জাহাজে শ্রমিক কর্মচারী বুকিং দেওয়া হলেও ওয়াচম্যান (নিরাপত্তা প্রহরী) দেয়া হয়না। এর ফলে জাহাজের নিরাপত্তা বিঘ্নিতসহ নানা রকম দূর্ঘটনা ঘটছে।
সম্প্রতি এ সমস্যায় পড়তে হয়েছে তিনটি বিদেশি জাহাজকে। গত ১১ জুলাই এম ভি ব্লু মেরিন এবং ২২ নভেম্বর এম ভি আস এলিনা জাহাজে চুরির ঘটনা ঘটে। এদুটি জাহাজে নিরাপত্তা প্রহরী ছিলনা। একারণেই এই চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। পরে অবশ্য ওইসব জাহাজ থেকে চুরি হওয়া মালামাল মোংলা এলাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে কোস্টগার্ড উদ্ধার করে। তবে এঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।
মোংলা বন্দর ষ্টিভিডরিং ওয়াচম্যান ওয়েলফেয়ার সংঘের সাধারণ সম্পাদক বাবুল ফকির বলেন, জাহাজে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত ওয়াচম্যান বুকিং দেওয়া হলে এধরনের ঘটনা ঘটতনা। তিনি বলেন, ফেয়ারওয়েতে আসা বিদেশি জাহাজে অন্যান্য শ্রমিক-কর্মচারী বুকিং করা হলেও তাদেরকে বুকিং হবে। সংশ্লিষ্ট শিপিং এজেন্টের প্রতি তিনি দাবি জানিয়ে আরও বলেন, অবিলম্বে ওয়াচম্যান বুকিং দিয়ে তাদের ন্যায্য কাজ করাতে সিদ্ধান্ত নিবেন।
মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী এইচ এম দুলাল বলেন, জাহাজে ওয়াচম্যান নিয়োগ থাকলে কোন ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভব থাকেনা। অঘটন ঘটলে বন্দরের সুনাম ক্ষুন্ন হয়। তাই শিপিং এজেন্টদের এবিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ বলেন, বন্দরে আগত জাহাজে চুরির ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। তবে জাহাজে ওয়াচম্যান নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিপিং এজেন্টদের সচেতন হতে হবে। এনিয়ে তাদের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি সূরাহ করা হবে বলেও জানান তিনি।