জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাবে বিপর্যয়ের মুখে মোংলা বন্দরের সুন্দরবন সংলগ্ন ঢাংমারী এলাকার উপক’লবাসী। তাই ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছাস ও লবনাক্তার কবল থেকে বাচার জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপদ খাবার পানি, চিকিৎসা আর বাসস্থান সহ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীদের যাতায়াতের টেকসই রাস্তার দাবিতে মানববন্ধন পালন করছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে পশুর নদীর পাড়ে ঢাংমারী এলাকার রেখামারীতে পথসভা ও মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেন ওখানকার বসবাসকারীরা।
ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছাস ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিপর্যয়ের কবল থেকে সুন্দরবন সংলগ্ন উপকুলীয় রেখামারী ও ঢাংমারি গ্রামকে রক্ষা করতে পথসভা ও মানববন্ধন পালন করেছে এলাকাবাসী। ২৫ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি দাকোপ উপজেলা কমিটির আয়োজনে সুন্দরবন সংলগ্ন জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাবের ঝুঁকিতে বসবাসরত বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ ও শিশু শিক্ষার্থী সহ প্রায় ৫শতাধিক মাননুষ এ মানববন্ধনে অংশ নেয়। তাদের দাবী, নদীর পাড়ে টেসই ভেরীবাধ, নিরাপদ সুপেয় খাবার পানি, স্কুল কলেজ ও মসজিদ মন্দির ও হাট বাজার সহ শহর এলাকায় যাতায়াতের রাস্তা নির্মান, চিকিৎসা ও বাসস্থানের জন্য সরকারের কাছে দাবী জানান তারা।
অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দাকোপ উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি কমরেড কিশোর রায়। বক্তব্য রাখেন, কমরেড এ্যাড. রুহুল আমিন, অধ্যাপক অসিত সরকার, সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ নূর আলম শেখ, রাহাত খান, জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তপন মন্ডল, নিখিল মন্ডল, অঞ্জন রায়, মিরা বিশ্বাস, দুলাল হাওলাদার, দাকোপ উপজেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি উত্তম মন্ডল আদি আদি সহ আরো অনেকে। মানববন্ধনে জলবায়ু প্রভাবে ঝুকিঁতে থাকা এলাকাবাসী জানায়, সরকারের জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের টাকা লুটপাট করে পার্ক করা হচ্ছে, গাড়ি কেনাসহ ভিন্নখাতে খরচ করা হচ্ছে। অথচ ঢাংমারি গ্রামে সাইক্লোন শেল্টার, নিরাপদ খাবার পানির ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নেই, নেই টেকসই ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটও। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুকি থেকে এ গ্রাম এলাকাকে বাঁচানোর দাবি জানান তারা। এছাড়া জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের লুটপাট বন্ধ করে উপকূলের জীবন-জীবিকা বাঁচাতে সরকারকে পরিকল্পনার দাবী জানানো হয় এ অনুষ্ঠান থেকে।
কমিউনিস্ট পাটির্র দাকোপ উপজেলা সভাপতি ও খুলনা জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য এ্যাডভোকেট রুহুল আমিন বলেন, উপকুলীয় এ এলাকার বসবাসরত অবহেলিত মানুষরা এক পাড়ে সুন্দরবন অন্য পাড়ে গ্রামীন জীবন, মাঝে ছোট্ট একটা খাল, পাশে ভয়ংঙ্কর পশুর নদী। পানিতে কুমির আর ডাঙ্গায় বাঘ। এর মধ্যেও ঝড় জলোচ্ছাস মোকাবেলা করে জীবিকার তাগিদে জীবনযুদ্ধ চালাতে হয় তাদের। রেখামারী এলাকার মানুষগুলো দুর্বিসহ জীবন-যাপন করছে। প্রকৃতির সাথে লড়াই করে বেঁচে আছে তারা। তাই এ সকল মানুষগুলো যেন সুন্দরভাবে বাচঁতে পারে সে জন্য দেশের নাগরিক হিসেবে তাদের মৌলিক অধিকার গুলো পেতে পার তার জন্যই এ মনববন্ধন পালন করছে এলাকাবাসী।