দূর থেকে দেখে মনে হয় বিশাল সবুজের মাঠ। মাঠে দূর্বাঘাস। আর সেই মাঠে চড়ে বেড়াচ্ছে নানা রকম পশু পাখি। এই দৃশ্য এখন দেখা মিলে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ধনাগোদা নদী উপর শ্রীরায়েরচর ব্রীজ থেকে কালীর বাজার পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে।
এদিকে মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ধনাগোদা নদীতে কচুরীপানার কারণে নৌকা দিয়ে নদী পারাপারে ভোগান্তীতে পড়েছে দুই উপজেলার জনসাধারণ। নদীর আমিরাবাদ লঞ্চঘাট থেকে কালিপুর লঞ্চঘাট পর্যন্ত প্রায় ৫৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে কচুরিপানার জট। এর মধ্যে শ্রীরায়েরচর ব্রীজ থেকে কালির বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার নদীর কচুরীপানার উপর দিয়ে হেটে চলাচল করা যায় বলে জানান ধনাগোদা তালতলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মতলব ধনাগোদার মতলব খেয়াঘাট, বাইশপুর, গাজীপুর মোড়, সাহেব বাজার, লক্ষীপুর, টরকী, মাছুয়াখাল, শাহপুর, নায়েরগাঁও, দুর্গাপুর, শ্রীরায়ের চর, কালির বাজার, নন্দলালপুর খেয়াঘাট এলাকায় কচুরিপানা জমাট বেঁধে আছে। এতে খেয়া পারাপারের যাত্রী সাধারণের চরম ভোগান্তি হচ্ছে।
ধনাগোদা তালতলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী রাবেয়া হোসেন, ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, বছরের এই সময়ে নদীতে প্রচুর পরিমাণে কচুরীপানা থাকায় নৌকা দিয়ে নদী পারাপারে নিজেদের নৌকার বৈঠা বাইতে হয়, সেই সাথে সময়ের অপচয় হয়। তাই বাধ্য হয়ে অনেক পথ ঘুরে শ্রীরায়েরচর ব্রীজ দিয়ে নদী পার হয়ে যেতে হচ্ছে।
নদীতে কচুরীপানার বিষয়ে নৌকা দিয়ে পারাপার হওয়া একাধিক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, নদীর দুই পাড়ে অবৈধ ঝাঁক থাকায় জোয়ার-ভাটার সময় কচুরীপানা সরতে পারে না। এতে কয়েক মাস কচুরীপানার জমাট বেঁধে নৌকাসহ এই নদীতে অন্যন্য নৌ-যানের বাধা সৃষ্টি হয়।
বাল্কহেড শ্রমিক রহিম জানান, প্রায় একমাস ধরে বালুবাহী বাল্কহেড কচুরীপানায় আটকে আছে ধনাগোদা স্কুলের কাছে।
ধনাগোদা তালতলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ ফারুকুল ইসলাম বলেন, নদীর দুই পাড়ে অসংখ্য অবৈধ মাছ ধরার ঝাঁক (মাছ ধরার ফাঁদ) রয়েছে। বছরের এই সময়ে নদীতে কচুরীপানা আটকে নৌকা পারাপারে জনসাধারণের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।