প্রকাশ: শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২২, ৭:৫০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
দৈনিক ভোরের পাতায় কাজে অনিয়মের নিউজ প্রকাশ, নড়িয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের পাইলিংয়ের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করে, তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন। রাতের অন্ধকারে মালামাল নিয়ে চলে গেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর পুনরায় এ কাজের দরপত্র আহ্বান করবে বলে জানা গেছে। এতে করে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ যথাসময়ে হচ্ছে না।
শরীয়তপুরের স্বাস্থ্য প্রকৌশলী বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী সাব্বির আহম্মেদ ছিদ্দিকী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে পদ্মানদীর ভাঙনে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাংশ বিলীন হয়ে যায়। ফলে নড়িয়া পৌর এলাকায় দক্ষিণ নড়িয়া এলাকায় প্রায় ৬ একর জমির ওপর ৫০ শয্যাবিশিষ্ট নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। সে অনুযায়ী ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ২৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকায় দরপত্র আহ্বায়ন করে। সর্বনির্ম দরদাতা হিসাবে কাজটি পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসএস রহমান ইন্টারন্যাশনাল। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাইড বুঝে নিয়ে পাইল নির্মাণ কাজ শুরু করে। পাইল নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম করে। ৪৫ ফুটের জায়গায় তার সাড়ে ২২ ফুট পাইল নির্মাণ করে। এঅনিয়ম নিয়ে দৈনিক ভোরের পাতায় নিউজ প্রকাশ হয়। বিষয়গুলো স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নজরে এলে তারা কাজ বন্ধ করে দিয়ে তদন্ত শুরু করে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তৎকালীন স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের শরীয়তপুর-মাদারীপুর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক, সহকারী প্রকৌশলী নুর মোহাম্মদ, উপসহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। পরবর্তীতে উপসহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করে। পাশাপাশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসএস রহমান ইন্টারন্যাশনালকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। এর পরে উপর মহল থেকে কে বা কারা ঠিকাদারকে মৌখিক কাজ করার অনুমোদন দেন। কিন্তু ঠিকাদার কাজ না করে রাতের অন্ধকারে মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। এখন আবার নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান বলেন, আমরা অন্য সাইটে কাজ করার জন্য এখান থেকে মালামাল নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের প্রতিষ্ঠানের অনেক ক্ষতি হয়েছে।
মাদারীপুর স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মাসুদ রানা বলেন, কাজে একটু ঝামেলা হওয়ায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পূর্বের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে। এ কাজে নতুন করে আবার দরপত্র আহ্বান করা হবে।