#বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে: ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। #শেখ হাসিনার কারণে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছি: ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন।
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২২, ১১:০১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথেই হাঁটছেন তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজকের বাংলাদেশের চিত্র আর মাত্র এক দশক আগের বাংলাদেশের চিত্রের ভিন্নতা অনেক। প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্য-ব্যর্থতার হিসাব-নিকাশ করলে উন্নয়ন ও অর্জনের পাল্লা ভারী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফর স্থগিত করা হয়েছে এটা নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বললেও আমি বলতে চাচ্ছি এই সফর স্থগিত করা হয়েছে বাতিল করা হয়নি। ভবিষ্যতে সময় সুযোগ বুঝে হয়তো নতুন বছরে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান সফর করবেন এবং এই সফরের দ্বারা দুই দেশের সম্পর্কের মেল বন্ধন আরও গাড় হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮৯৬তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, জাপান এশিয়ার প্রথম শক্তি যা ইউরোপীয় শক্তি রাশিয়াকে ১৯০৫ সালে নৌ যুদ্ধে হারিয়ে দিয়েছিল। সে দেশ নানানভাবে আমাদের সাথে সম্পৃক্ত। আমাদের দেশে যে সোনালি আঁশ আছে তার প্রধান পৃষ্ঠপোষক কিন্তু জাপান। জাপানের আনুকূল্যেই পাট আজ বিশ্ব বাজারে ছরিয়েছে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময় থেকে এখন পর্যন্ত জাপান আমাদের সবথেকে বড় উন্নয়ন সহভাগি দেশ। জাপানের সাথে আমাদের যে দীর্ঘদিনের মেল বন্ধন আছে তা সহজেই যে ছিঁড়ে যাবে তা কিন্তু হতে পারে না। সুতরাং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফর স্থগিত করা হয়েছে এটা নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বললেও আমি বলতে চাচ্ছি এই সফর স্থগিত করা হয়েছে বাতিল করা হয়নি। ভবিষ্যতে সময় সুযোগ বুঝে হয়তো নতুন বছরে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান সফর করবেন এবং এই সফরের দ্বারা দুই দেশের সম্পর্কের মেল বন্ধন আরও গাড় হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথেই হাঁটছেন তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজকের বাংলাদেশের চিত্র আর মাত্র এক দশক আগের বাংলাদেশের চিত্রের ভিন্নতা অনেক। প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্য-ব্যর্থতার হিসাব-নিকাশ করলে উন্নয়ন ও অর্জনের পাল্লা ভারী। কৃষি, শিক্ষা, কূটনীতি, বিদ্যুৎ, খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনীতিতে ঘটেছে সরব বিপ্লব। কয়েক বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক নয়। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা তথা এসডিজি অর্জন,২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশের মর্যাদা লাভ ও ব-দ্বীপ পরিকল্পনা তথা ডেল্টা প্ল্যান- ২১০০ বাস্তবায়নের আলোকোজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথে সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ আজ বিশ্বাস করে যতদিন শেখ হাসিনার হাতে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ। সর্বোপরি বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া, বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ মোকাবেলায় গৃহীত পদক্ষেপ সহ বহু সাহসী ও দূরদর্শী উদ্যোগে শেখ হাসিনা এখন শুধু বাংলাদেশই না, বিশ্বের কাছেও অনুকরণীয় নেতৃত্ব। বারবার মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফেরা দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাদের আশার বাতিঘর, শ্রেষ্ঠ ভরসা। আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণেই সামাজিক বলেন, অর্থনৈতিক বলেন, সব জায়গায় তাঁর হাতের ছোঁয়া রয়েছে এবং এই উন্নয়ন আজকে দৃশ্যমান বলেই আজকে আমরা স্বনির্ভর জাতীতে রূপান্তরিত হয়েছি।