শেখ হাসিনার হাত ধরে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে উঠছে: অধ্যাপক ড. ফারুক মির্জা
প্রকাশ: বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২, ১১:৫৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বর্তমান বৈশ্বিক অবস্থার মধ্যে কম উন্নত দেশগুলো যেভাবে অর্থনীতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে সেখানে বাংলাদেশের উইপোকা গুলো এই বিষয়টাকে সামনে রেখে বেশী কামড়ানো চেষ্টা করছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের এমন শিখরে নিয়ে গেছেন যেখানে বিগত কয়েক বছরের ধাক্কা যেমন করোনা ও বর্তমানে অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা থাকা সর্তেও বাংলাদেশ আজও উন্নতির সীমাহীন চূড়ায় আহরণ করছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮৯৫তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, বেলজিয়াম বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুক মির্জা, ব্যারিস্টার, লিংকনস ইন লন্ডন (পাবলিক এক্সেস) ১২ ওল্ড স্কয়ার চেম্বার, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা চৌধুরী হাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সাংবাদিক, ভোরের পাতা সংলাপের সমন্বয়ক মাকসুদা সুলতানা ঐক্য।
অধ্যাপক ড. ফারুক মির্জা বলেন, আজকের ভোরের পাতা সংলাপের আলোচনার বিষয়বস্তু পথ হারাবে না বাংলাদেশ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর বাঙলার স্বাধীনতার সূর্য ফের অস্তমিত হচ্ছিলো। সেসময় বাঙলার ইতিহাস বিকৃত করার যে অপচেষ্টা চলছিল ঠিক সেই মুহূর্তেই তিনি নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে বাংলাদেশে হাজির হন বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করার জন্য, বাংলাদেশের মানুষদেরকে রক্ষা করার জন্য। বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে এসে আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সব ষড়যন্ত্র বানচাল করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বৈরশাসনের কবল থেকে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামের বাঁকে বাঁকে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ন্যক্কারজনক গ্রেনেড হামলাসহ ১৯ বার তার প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়। জীবনকে তুচ্ছজ্ঞান করে বঙ্গবন্ধুর মতো অকুতোভয় নেতৃত্ব দিয়ে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা, মূল্যবোধ হত্যা করা হয়েছিল; তা পুনঃপ্রতিষ্ঠাসহ সংবিধানে জাতীয় চার মূলনীতি পুনঃস্থাপন করা এবং যে ইনডেমনিটি বিলের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার বাধাগ্রস্ত করা হয়েছিল, তা তুলে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার সম্পন্ন করে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে পাপমুক্ত করেছেন। শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প আজ বাস্তবিক। এর পাশাপাশি কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহু লেন সড়কবিশিষ্ট টানেল নির্মাণ প্রকল্প, ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্প, দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম রেল প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র, সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দরসহ মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। রূপকল্প ২০২১-এর সাফল্যের ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের উন্নয়নের পথে জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে রূপকল্প ২০৪১ গ্রহণ করে এবং এরইমধ্যে দারিদ্র্যের অবলুপ্তিসহ বাংলাদেশকে উচ্চ আয়ের উন্নত দেশে রূপান্তরের লক্ষ্য কাজ করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।