প্রকাশ: বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২, ৮:৫৫ পিএম আপডেট: ২৩.১১.২০২২ ১০:১৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
গত ২১ শে নভেম্বর রাজধানী প্যারিসের 'হোটেল প্যাভিও রয়েলের' হলরুমে যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ' সশস্ত্র বাহিনী দিবস' পালন করা হয়। বাংলাদেশ এবং ফ্রান্স উভয় দেশের জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সহ ফ্রান্সে নিযুক্ত বন্ধু প্রতীম বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক কর্মকর্তাগণ, ফ্রান্সের সামরিক সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী বিভিন্ন কম্পানির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং ফ্রান্সে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ।
এছাড়া বাংলাদেশী বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যবসায়ীক নেতৃবৃন্দ সহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা এবং প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মিজানুর রহমান এনডিসি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে অভ্যর্থনা জানান।
রাষ্ট্রদূত এবং প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তাদের বক্তব্যে তৎকালীন সময়ে ' সশস্ত্র বাহিনী' গঠনের প্রয়োজনীয়তা ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন এবং দেশ মাতৃকার সেবায় 'সশস্ত্র বাহিনী' সহ অন্যান্যদের আত্নত্যাগের কথা গভীরভাবে স্মরণ করেন। রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা বাংলাদেশের 'সশস্ত্র বাহিনী' জাতির অহংকার। ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী সহ সম্মিলিত বাহিনীর সমন্বয়ে 'সশস্ত্র বাহিনী' গঠন করা হয় এবং মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে 'সশস্ত্র বাহিনীর' অবদান ও বীরত্বগাথা জাতি আজও গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। তিনি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন বাংলার গরীব দুঃখী মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য।
তিনি সকল প্রকার অন্যায় অত্যাচার, জেল-জুলুম উপেক্ষা করে সমগ্র জাতিকে বাঙালি জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ করে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং তারই নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জাতি কাঙ্ক্ষিত বিজয় অর্জন করে।রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ায় আমন্ত্রিত অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদেরকে আপ্যায়ন করা হয়।