প্রকাশ: বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২, ৮:১১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্বব্যাংকের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় ২০১৩ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) আওতায় ন্যাশনাল হাউজহোল্ড ডাটাবেইজ (এনএইচডি) প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত ডাটা এন্ট্রি অপারেটররা। প্রকল্পটি ২০১৩ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
ডাটাবেইজের কাজ অসম্পূর্ণ রেখে প্রকল্পটি শেষ করতে চাওয়ার প্রতিবাদে ও প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর দাবিতে আজ বুধবার (২৩ নভেম্বর) চতুর্থ দিনের মতো রাজধানীর আগারগাঁও বিবিএস চত্বরে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ডাটা এন্ট্রি অপারেটররা।
ডাটা এন্ট্রি অপারেটররা বলেন, এ পর্যন্ত প্রকল্পের মোট বরাদ্দ ৭২৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি (সরকারের নিজস্ব তহবিল) ৪০ কোটি ৫৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৬৮৬ কোটি ৮০ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। অক্টোবর ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ব্যয় হয়েছে জিওবি ২৯ কোটি ২৯ লাখ ৬৬ হাজার টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৬১১ কোটি ৩৫ লাখ ১২ হাজার টাকা। ছাড় করা প্রকল্প সাহায্য ৫০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা অবশিষ্ট আছে।
এ প্রকল্পের তথ্য জেরক্স ইন্ডিয়া লিমিটেড আইসিআর মেশিনের মাধ্যমে স্ক্যান করা হয়। স্ক্যানের ত্রুটির কারণে ডাটা সফটওয়ারে ডাটাবেজ আকারে প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে প্রকল্পে নিয়োগ করা ২৬৫ জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের মাধ্যমে ২৪ জুলাই ২০২২ থেকে ত্রুটিপূর্ণ ডাটা সংশোধনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে ১৪টি জেলার মোট ৬৬ লাখ খানার ডাটা সংশোধনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হলে পরবর্তী সময়ে বাকি ৫০টি জেলার ৩ কোটি ৪ লাখ খানার ডাটা সংশোধনের কাজ অসম্পূর্ণ থাকবে। প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করে সঠিকভাবে ডাটা প্রস্তুতের আবেদন জানিয়ে ২৬৫ জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আগারগাঁওয়ের বিবিএস চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আশিক ও শাফি মাহমুদ বলেন, প্রকল্পটির কাজ অসমাপ্ত রেখে শেষ করতে চাইছে বিবিএস। ডিসেম্বরে প্রকল্পটির মেয়াদ সমাপ্ত করা হলে সরকারের ৭২৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা জনগণের কোনো উপকারেই আসবে না। আমরা ২৬৫ জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর দীর্ঘ ছয় বছর ধরে ওই প্রকল্পে কর্মরত আছি। তাই আমাদের প্রাণের দাবি, ত্রুটিপূর্ণ অবশিষ্ট ৫০টি জেলার ৩ কোটি ৪ লাখ খানার তথ্য আমরা সংশোধন করতে চাই। বর্তমান সরকারকে উন্নত দেশের ন্যায় সব খানার আর্থসামাজিক তথ্য সম্বলিত ডাটাবেজ উপহার দিতে চাই।