কথায় আছে উনো বর্ষায় দুনো শীত অর্থাৎ যে বছর বৃষ্টি কম হয় সে বছর শীত একটু বেশি হয়। বাংলার ষড়ঋতুর রঙ্গমঞ্চে একটু উল্লেখযোগ্য জায়গা জুড়ে শীতের অবস্থান। হেমন্তের সোনালী ডানায় ভর দিয়ে হিমেল হাওয়াকে সঙ্গে করে ও কুয়াশার চাদর গায়ে মুড়ে আগমন ঘটে শীতকালের। মৃদু রোদের তাপ নিয়ে শীত আসে উদাসী পথিকের বেশে। পৌষ মাস জুড়ে থাকে তার অবস্থান। তবে এ বছর একটু আগে থেকেই দেখা মিলেছে শীতের। একটু আগে থেকেই শীতের আগমন ঘটায় শীতকাতর মানুষগুলো শীতবস্ত্র ক্রয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
আজ বুধবার উপজেলা সদর আড়পাড়া বাজারের ঐতিহ্যবাহী পুরাতন কাপড়ের বাজারে গিয়ে দেখা মেলে এমনই একটি চিত্র। যেখানে সোয়েটার, মাফলার, চাদর, জ্যাকেটসহ শীত নিবারণের নানাবিধ বস্ত্র পাওয়া যায় সুলভ মূল্যে। তাই শীতবস্ত্র কিনতে গরিব, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত সহ সমাজের নানা অবস্থানের লোকজন ভিড় জমান সেখানে। কেউ কিনছেন মাফলার,কেউ জ্যাকেট, কেউ আবার চাদর তবে গত বছরের চেয়ে এবছর দাম একটু বেশি বলে অভিযোগ করেন ক্রেতা সাধারণ।
একটি মাফলার ১৫০, জ্যাকেট ৩০০, চাদর ৩০০, সয়েটার ৩০০, হাত মোজা-পা মোজা ২০ থেকে ৫০ টাকা। যা গত বছরের চেয়ে একটু বেশি মনে করছেন অনেকেই। শীতবস্ত্র বিক্রেতা শাহাদাত হোসেন, আব্দুর সাত্তার সহ কয়েকজন বিক্রেতার সাথে কথা হলে তারা জানান, আমরা মাগুরা জেলার পার্শ্ববর্তী জেলা যশোর, ঝিনাইদহ সহ বিভিন্ন জেলা থেকে কাপড় সরবরাহ করি, যে বছর যেরকম মূল্যে ক্রয় করি সে বছর সে রকম মূল্যেই বিক্রি করি। পাশাপাশি এ বছর শীত একটু আগে থেকেই শুরু হওয়ায় শুরু থেকেই ক্রেতাদের ভিড় অপেক্ষাকৃত একটু বেশি বলেও জানান তারা।
শীত বস্ত্র ক্রয় করতে আসা নাজমুল হাসান নামের এক ব্যক্তি জানান, গত বছর একটি মাফলার কিনেছিলাম তাই এ বছরও একটি ট্রাউজার ও একটি জেকেট কিনতে আসলাম। তবে গতবছরের চেয়ে দাম একটু বেশি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
অন্য একজন ক্রেতা আল আমিন হোসেন তিনি বলেন বাজারের নতুন কাপড়ের দোকানের চেয়ে অনেক কম মূল্যে এখানে মোটামুটি ভালো মানের কাপড় পাওয়া যায় বলে প্রতি বছরই এখানে কাপড় কিনতে আসি।উপজেলা সদর শতখালী, ধনেশ্বগাতী,, তালখড়িসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের লোকজন। কাপড় কিনতে আসেন এখানে। পুরাতন কাপড়ের দোকানে শুধু পুরাতন কাপড় নয় অনেক নতুন কাপড়ও পাওয়া যায় বলে জানান ক্রেতা সাধারণ। প্রতি শনিবার ও বুধবার দুপুর থেকে পুরাতন কাপড়ের পসরা সাজিয়ে সন্ধ্যা অবধি বসে থাকেন বিক্রেতারা।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের নজরদারিতে পুরাতন কাপড়ের বাজারটাকে আরো বেশি বড় পরিসরে সাজিয়ে তুললে নিম্ন, মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষগুলো স্বল্প মূল্যে ভালো মানের শীতবস্ত্র পেত বলেও দাবি করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।