দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে দি সিনফা নিটার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান চীনা নাগরিক ইয়াং ওয়াং চুং ও পরিচালক খসরু আল রহমান ১৩ বছর, দি সিনফা নিটার্স লিমিটেডের পরিচালক মনসরুল হক ও মো. গোলাম মোস্তফার ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তারা সবাই পলাতক আছেন।
এছাড়া ন্যাশনাল ব্যাংকের দিলকুশা শাখার তৎকালীন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (এক্সপোর্ট) আব্দুল ওয়াদুদ খান ও তৎকালীন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহাবুদ্দিন চৌধুরীর ৬ বছরের কারাদণ্ড পাশাপাশি পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এর আগে ২৬ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালতে মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন। এদিন মামলার রায় ঘোষণার জন্য ধার্য ছিল। রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ১৬ নভেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন বিচারক।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে একটি জাল দলিল তৈরি করে তা খাঁটি হিসেবে ব্যাংকে বন্ধক রাখেন। দীর্ঘদিন ব্যাংকের কাছ থেকে ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলার নিশ্চয়তা নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করেন। এরপর ব্যাংকের দায়দেনা বাবদ দুই কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ১৪৮ টাকা পরিশোধ না করে গা-ঢাকা দেন। যাতে ব্যাংক জাল-জালিয়াতির কাগজপত্র দিয়ে গ্রহণকৃত বন্ধকি (মর্টগেজড) জমি বিক্রি করে তাদের টাকা উদ্ধার করতে না পারে। তাদেরও কোনো হদিস করতে না পারে। আর এর ফলে প্রকৃত জমির মালিকও হয়রানির শিকার হন। এ ঘটনায় দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। একই কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৮ সালের ২৪ জুন চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। বিচার চলাকালীন ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ১১ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।