প্রকাশ: শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ২০২২, ৬:২৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আগামী ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক সংগঠনটির পরবর্তী কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের কারা আসছেন, কারা বাদ পরছেন; তা নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা ও গুঞ্জন। তবে আওয়ামী লীগের দুইজন প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্য ইতিমধ্যেই ভোরের পাতাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন, আগামী সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কমিটি থেকে এক তৃতীয়াংশ নেতা বাদ পড়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে দলের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই চূড়ান্তভাবে বর্তমান কমিটির কারা বাদ পরবেন, তার সিদ্ধান্ত দিবেন। বর্তমান কমিটিতে থাকা বিতর্কিত কয়েকজনের কার্যক্রমে চরমভাবে নাখোশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, তাদের দলে থাকার সুযোগ নেই বললেই চলে। কমিটি বাণিজ্য, নারী কেলেংকারী থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর নির্দেশ অমান্য করে যারা দলের মধ্যে হাইব্রিডদের অনুপ্রবেশের সুযোগ করে দিয়েছেন, সেইসব নেতাদের কপাল পুড়ছে বলেও জানা গেছে।
তবে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিক্ষিত, শেখ হাসিনার প্রতি আনুগত্যের প্রশ্নে শতভাগ আস্থা অর্জনকারী এবং দেশব্যাপী নেতাকর্মীদের মধ্যে যাদের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে তাদের দলে জায়গা দেয়া হবে। ৮১ সদস্যের কার্যনির্বাহী সংসদের মধ্যে বর্তমান সভাপতি শেখ হাসিনার পদটি নিশ্চিত থাকছে, এটা নিয়ে কোনো প্রশ্নই নেই। বাকি ৮০ জনের মধ্যে কমপক্ষে ২৭ থেকে ৩০ জনের পদ থাকবে না বলে মোটামুটি নিশ্চিত করেছে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ মহলের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র।
সূত্র আরো জানিয়েছে, গত কমিটির ৩ জন সাংগঠনিক সম্পাদক যারা বর্তমানে মন্ত্রীসভায় রয়েছেন, তাদের দলে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তাদের মধ্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী, শরিয়তপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম এনামুল হক শামীম, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও দিনাজপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম ৯ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
কেন তাদের ফেরানো হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র ভোরের পাতাকে বলেছেন, তারা তিনজনই দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন। তাদের দেশব্যাপী জনপ্রিয়তাও রয়েছে। এমনকি ভাস্কর্য বিরোধী আন্দোলনের সময় হেফাজতের সময় খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল দলীয় পদে না থেকেও অনেক নেতার চেয়ে অগ্রণী ও সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। এনামুল হক শামীম ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিসাবে দেশব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। উপমন্ত্রী হিসাবে যথেষ্ট সফল তিনি। তাই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগেই পরীক্ষিত ও জনপ্রিয় আওয়ামী লীগের এই তিন সাংগঠনিক সম্পাদককে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়ে আসার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আলোচিত হচ্ছে।