প্রকাশ: শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ২০২২, ১২:২৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ফরিদপুরে আজ শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে বাস ও মিনিবাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। মহাসড়কে তিন চাকার যান ‘বন্ধের দাবিতে’ ৩৮ ঘণ্টার এ পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে জেলা বাস মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
যদিও বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, আগামীকাল শনিবার ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে সামনে রেখে সরকার ও প্রশাসনের ইন্ধনে এই বাস ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
ধর্মঘটের প্রথম দিনেই চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। আজ সকাল আটটা থেকে সাড়ে নয়টা পর্যন্ত ফরিদপুর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, নতুন বাসস্ট্যান্ড এবং ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা ঘুরে যাত্রীদের যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
ধর্মঘটের কারণে বাস ও মিনিবাসের পাশাপাশি সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন সড়কে তিন চাকার মাহিন্দ্রা এবং মাইক্রোবাস চলাচলও সীমিত হয়ে পড়েছে। শুধুমাত্র ইজিবাইক চলাচল করতে দেখা গেছে।
ধর্মঘটের বিষয়ে জেলা মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নাসির বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিভাগীয় কমিশনার বরাবর গত সোমবার চিঠি দিয়ে আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কিন্তু দাবি মানা হয়নি। ফলে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত ফরিদপুর জেলা বাস টার্মিনাল থেকে আঞ্চলিক বাস ও মিনিবাসসহ দূরপাল্লার পরিবহনের সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।
এদিকে আগামীকাল শনিবার (১২ নভেম্বর) ফরিদপুরের কোমরপুর আবদুল আজিজ ইনিস্টিটিউশন মাঠে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ৩৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট থাকায় নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দিতে আগেভাগেই শহরে প্রবেশ করেছেন। গত দুদিন ধরে সমাবেশস্থলেই চলছে তাদের রান্না-খাওয়া। থাকছেনও সেখানেই।
জেলা বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, বিএনপির গণসমাবেশ বাধা দেওয়ার অংশ হিসেবেই সরকার গণপরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে। তবে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। এরই মধ্যে আশপাশের জেলাগুলো থেকে নেতাকর্মীরা এসে গেছেন।
এর আগে ময়মনসিংহ, রংপুর, খুলনা, বরিশালেও বিএনপির গণসমাবেশ ঘিরে বিএনপি নেতাকর্মীদের আগে থেকে সমাবেশস্থলে অবস্থান নেওয়ার ঘটনা দেখা যায়।