প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২২, ৮:২০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
শ্রীনগরে চাইনিজ রেস্টুরেন্টের ব্যবসার আড়ালে চলছে অনৈতিক ও অসাজিক কার্যকলাপ। শ্রীনগর-ভাগ্যকুল সড়কের উপজেলার সদর এলাকার বটতলা সংলগ্ন জমজম টাওয়ারের নিচতলায় প্যারাডাইস রেস্টুরেন্টের পরিচালকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। রেস্টুরেন্টটির পরিচালক মো. সজিব (৩০) দীর্ঘদিন ধরে ওই চাইনিজ রেস্টুরেন্টের ভিতর বেশ কয়েকটি কেবিন ঘর তৈরী করে ব্যবসা করে আসছে। অন্ধকার ও পর্দায় ঢাকা এসব ছোট্র কক্ষেগুলোতে উঠতি বয়সি তরুণ-তরুণীদের অবাদে মেলামেশার সুযোগ করে দিয়ে বাড়তি আর্থিক সুবিধা নেওয়া হচ্ছে। শ্রীনগর বাজার ও এর আশপাশে এ ধরণের বেশকয়েকটি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জমজম টাওয়ারের নিচ তলায় প্যারাডাইস রেস্টুরেন্টের ভিতরে আলোবিহীন, ছোট্র কক্ষগুলোতে সোফা পাতা ও পর্দায় ঢাকা। প্রতিটি ঘরে ২টি করে সোফা পেতে রাখা হয়েছে। তার পাশেই লোকদেখানো মাত্র ছোট্র একটি টেবিল রাখা হয়েছে। এছাড়াও রেস্টুরেন্টের প্রবেশদ্বারে তেমন কোন খালি জায়গা নেই। তাও থাই গ্লাস দিয়ে আড়াল করে রাখা হয়েছে।
ওই মার্কেটের দোকানীরা জানায়, রেস্টুরেন্টটিতে স্কুল, কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের আনাগোনা অনেকাংশে বেশী। এছাড়া বিভিন্ন স্থান থেকে নানা শ্রেণি পেশার নারী-পুরুষরা এখানে এসে টাইম পাস করেন। রেস্টুরেন্টে খাবার দাবার অর্ডারের নামে খুপড়ি ঘরে চলে তরুণ-তরুণী কপোত কপোতির অনৈতিক কর্মকান্ড। অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য রেস্টুরেন্টের খুপড়ি ঘরগুলো তাদের কাছে নিরাপদ স্থান। এ সুযোগে রেস্টুরেন্ট মালিকও আর্থিক সুবিধা পাচ্ছেন। অপর একটি সূত্র জানায়, রেস্টুরেন্টের পরিচালক সজিব পরিচয় দেন তার পিতা একজন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
প্যারাডাইস রেস্টুরেন্টের পরিচালক মো. সজিবের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার এখানে কোন অসামাজিক কর্মকান্ড হয়না। তিনি স্বীকার করে বলেন, রেস্টুরেন্টের ভিতরে অলাদাভাবে পর্দাঢাকা ঘর রাখা ঠিক হয়নি। তবে এ ব্যাপারে কেউ কখনও নিষেধ করেনি। এককথা প্রসঙ্গে তিনি দাবি করে বলেন, তার পিতা রাজারবাগ পুলিশলাইনে কর্মরত আছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে জানা গেছে, রেস্টুরেন্টটির পরিচালক মো. সজিবের পিতা পুলিশের সাবেক সাব-ইন্সপেক্টর মো. জুলহাস। তিনি গত ২০১৯ সনের দিকে অবসরে যান। এক সময় তিনি শ্রীনগর থানায় কর্মরত ছিলেন। বসবাস করেন শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর এলাকায়।