বিএনপির সর্বশেষ সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে তাদের ভবিষ্যৎ: ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০২২, ১০:২৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আগামী নির্বাচন নিয়ে তাদের সর্বশেষ সিদ্ধান্তটি বিএনপির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা বা না করা তাদের জন্য অনেকটায় সার্কাসের দড়ির উপর দিয়ে হেটে যাওয়ার মতোই কঠিন হবে। এটা নির্ভর করবে তাদের দলের চেয়ারপার্সন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন উপর। আমরা বিশ্বাস করি সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রেখেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও নির্বাচন অনুষ্ঠিত করবেন এবং সেই নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করবেন এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকেই আবারো জয়যুক্ত করবেন।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮৮০তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, আজকের ভোরের পাতা সংলাপের আলোচ্য বিষয় নির্বাচনে আসছে তো বিএনপি? আসলে এটা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব না। বিএনপি একেক সময় একেক অবস্থান নিয়েছে। তাদের রাজনৈতিক স্থিরতা পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাবো যে, ২০১৪ ও ২০১৮'র নির্বাচনে বিএনপি মূলত দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে ছিল। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা তো দূরের কথা নির্বাচনকে প্রতিহত করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছিল তারা ২০১৮তে তারা শেষ মুহূর্তে ট্রেনে উঠে বসেছিল। এর কারণে ফলাফলটাও ভিন্ন ভিন্ন হয়েছে। আগামী নির্বাচন নিয়ে তাদের সর্বশেষ সিদ্ধান্তটি তাদের দলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা বা না করা তাদের জন্য অনেকটায় সার্কাসের দড়ির উপর দিয়ে হেটে যাওয়ার মতোই কঠিন হবে। এটা নির্ভর করবে তাদের দলের চেয়ারপার্সন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন উপর। আর এখন যারা মাঠে আন্দোলন করছে তাদের আসলে এই দুজনের মতের বাহিরে গিয়ে খুব একটা কিছু করার থাকবে না। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের যে ম্যাস মবিলাইজেশন আমরা দেখলাম সেটা দেখে আসলেই স্বীকার করতে হবে যে তারা আসলে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, তাদের মনোবল যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তারা যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়া নির্ভর হয়ে পড়েছিল সে জায়গা থেকে নিজেদেরকে বের করে এনেছে। এখানে আমাদেরকে শাসক দলকেও সাদুবাধ দিতে হবে কারণ তারা তাদের মাঠের বিরোধী দলকে যথেষ্ট স্পেস দিয়েছেন তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচী করার জন্য।