প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০২২, ৮:৫৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের মেদিনীমহল গ্রামের তছকির মিয়া। বয়স আশি, এক সময় দিনমজুরের কাজ করতেন। কিন্তু বয়স বাড়ার কারণে আগের মতো শরীরে শক্তি না থাকায় কাজ করতে তাকে কেউ আর ডাকে না। তাই ৪ মেয়ে ও ১ ছেলেসহ ৭ জনের সংসার চালাতে বাধ্য হয়েই বিশ বছর আগে ভিক্ষাবৃত্তির পথ বেছে নিতে হয় তাকে। দুই মেয়েকে অনেক কষ্টে বিয়ে দিয়েছেন। এখন আর আগের মতো ভিক্ষার জন্য যেতে পারেন না বলে সংসারের আয়ও কমে গেছে। একই অবস্থা উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর ঘড়গাঁও গ্রামের লালমতি বিবির (৫৫)। প্রায় ১০ বছর আগে স্বামী হারানোর পর ৫ মেয়েকে নিয়ে বেঁচে থাকতে ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করেন।
এভাবেই ২ মেয়েকে বিয়েও দিয়েছেন। তবে বয়স বাড়ায় এখন আর সংসারের ঘানি টানতে পারছেন না তিনি। টেংরা ইউনিয়নের মখলিছ মিয়াও (৭০) তাদের মত প্রায় ১৫ বছর ধরে পথেপথে ভিক্ষা করে বেরাচ্ছেন। তবে এভাবে পরিস্থিতিতে পরে এই পথ বেছে নেয়া এমন ১১ জন ভিক্ষুকের সেই দিন এখন কেটে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে এখন ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে, আত্মমর্যাদা নিয়ে তাঁরা মাথা উঁচু করে বাঁচতে চাইছেন। এই ১১ জন অসহায় মানুষগুলো এখন প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা পেয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন সচ্ছল জীবনের। তাদেরকে পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনিার কার্যালয় ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ১১টি ভ্যানগাড়ি, দোকানের জন্য মালামাল ও প্রত্যেককে নগদ ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
রাজনগর উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয়ের যৌথ আয়োজনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের হাতে এসব ‘প্রধানমন্ত্রীর উপহার’ তুলে দেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা পালের সভাপতিত্বে এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো: শাহজাহান খান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানজিদা আক্তার, রাজনগর থানার ওসি বিনয় ভূষন রায়, মনসুরনগর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন বখত, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তি চক্রবর্তী, সমাজসেবা কর্মকর্তা আজাদুর রহমান, টেংরা ইউপি চেয়ারম্যান টিপু খান, ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাশ ও পাঁচগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ছানা।