প্রকাশ: শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২২, ৯:৩৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে স্প্রিডবোট দূর্ঘটনায় পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ার ২৪ ঘন্টায় নিখোঁজ দু’জনের খোঁজ মেলেনি। শুক্রবার দুপুরে এই দূর্ঘটনার পর থেকেই ঘটনাস্থলে উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। লংগদুর কাট্টলী বিলের গাছকাটা ছড়া এলাকায় শত মানুষের উপস্থিতিতে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে। এই দূর্ঘটনায় পতিত স্প্রিডবোটটিতে যাত্রী পরিবহনের সময় যাত্রীদের কোনো প্রকার লাইফ জ্যাকেট পরিধান করানো হয়নি বলে জানাগেছে।
শুক্রবার বিকেল তিন টার সময় রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে বালুভর্তি ইঞ্জিনবোটের সাথে স্প্রিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় লিটন চাকমা ও এলিনা চাকমা নামের দুই যাত্রী কাপ্তাই হ্রদের পানির নীচে তলিয়ে যায়। এসময় উক্ত স্প্রিডবোটে থাকা আরো ৭জন যাত্রীকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা। নিহতদের মধ্যে লিটন চাকমা পেশায় শিক্ষক ও এলিনা চাকমা শিজক কলেজের উম্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানাগেছে।
জানাগেছে, বালুভর্তি দেশীয় ইঞ্জিনবোটটি রাঙামাটি থেকে ছেড়ে লংগদু যাচ্ছিলো এবং যাত্রীবাহি স্প্রিডবোটটি রাঙামাটির রাজবন বিহারে আজ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কঠিন চীবর দানানুষ্ঠানে যোগদানের জন্য আসতেছিলো। বালুভর্তি বোটটির চালক নজরুল ইসলাম জানান, আমি বোটে নামাজ পড়ে ছাদে উঠতেই দেখি স্প্রীট বোট টি আমার বোটের কাছাকাছি, ফলক পড়তেই এসে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়ে যায়।
স্প্রীট বোট চালক হিমেল চাকমা বলেন, হঠাৎ আমার চোখের মধ্যে কিছু একটা পড়েছে বলে মনে হয়। তখন আমি এক হাতে চোখ পরিষ্কার করতে থাকি তখনই মুখোমুখি হয়ে সংঘর্ষ হয়ে যায়।
লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুল আমীন জানিয়েছেন, ঘটনাটি জানার পরপরই আমরা আমাদের পুলিশসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছিলাম। রাত হয়ে যাওয়ায় পরদিন আজ শনিবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে আবারো উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, সেনাবাহিনী ও স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় উদ্ধার অভিযান চলছে বলেও জানাগেছে।