প্রকাশ: শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২২, ৯:৩২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে অটোচালক নাসির উদ্দিনকে(৪৫) হত্যা করে অটোরিক্সা ছিনতাইয়ের ঘটনায় আন্তঃজেলা ছিনতাইকারি দলের সর্দার মুকবুলসহ পাঁচ ভয়ঙ্কর ছিনতাইকারিকে গ্রেফতার জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাইকৃত অটোরিকশা ও মোবাইল সেট।
শুক্রবার গভীররাতে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া,হোসেনপুর ও গফরগাঁওয়ের পাগলা থানা এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করে এই ৫ ভয়ঙ্কর ছিনতাইকারিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার অভিযানের নেতৃত্ব ছিলেন জেলা গোয়েন্দা ডিবি পুলিশের ওসি সফিকুল ইসলাম।
গ্রেফতারকৃত এই ৫জন পেশাদার ছিনতাইকারির মধ্যে জাবেদ (২৫),কাজল মিয়া (৬০), শরীফ (৩২)ও সোহেল মিয়া (২২) এরা চারজন পাশ^বর্র্তী কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানা এলাকার বাসিন্দা।
মকবুল হোসেন (৫৫)নামের ছিনতাইকারি গফরগাঁওয়ের পাগলা থানাধীন কন্যা মন্ডল উত্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত হর্যরত আলীর ছেলে। মকবুল হোসেন (৫৫) পেশায় একজন নরসুন্দর। সেলুনে চুল কাটার কাজ করলেও আড়ালে তার মুল কাজ ডাকাতি ও ছিনতাই। সেলুনে বসেই অটোরিকশা ছিনতাই চক্র চালাতেন মকবুল। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অটোরিকশা ছিনতাই করে আসছিলেন।
শনিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছিনতাইকারিদের বিষয়ে এসব চা ল্যকর তথ্য উদঘাটন করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান গত ৩১ অক্টোবর ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার খুরশিদ মহল ব্রীজের পূর্ব ঢালে রাস্তার পাশে ঝোপঝাড়ের আড়াল থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জানা যায়, নিহত ব্যক্তিটি গফরগাঁওয়ের তেতুলিয়া গ্রামের অটোরিকশা চালক নাছির উদ্দিন (৪৫)। এ ঘটনার পরদিন নিহতের ছোট ভাই নুরুল আমিন পাগলা থানায় একটি মামলা করেন। এরপর হত্যার রহস্য উদঘাটনে অভিযানে নামে ডিবি পুলিশ। ধারাবাহিক অভিযানে বিভিন্নস্থান থেকে হত্যাকা-ে জড়িত চার ছিনতাইকারী এবং ছিনতাইকৃত অটোরিকশা উদ্ধারসহ সোহেল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৯ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে গফরগাঁওয়ের জামতলা চৌরাস্তা থেকে আসামিরা হোসেনপুর যাওয়ার কথা বলে নাছির উদ্দিনের অটোরিকশায় উঠে৷ পৌনে ৯টার দিকে হোসেনপুর ব্রীজের কাছে পৌঁছলে চালকের গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর ছিনতাইকারীরা ঝোপের আড়ালে মরদেহ ফেলে তার অটোরিকশা ও মোবাইল সেটটি নিয়ে চলে যায়।
মকবুলের নেতৃত্বে ছিনতাইকারিরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র গড়ে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল । মকবুলের বিরুদ্ধে একাধিক চুরি, ডাকাতি, অস্ত্র ও হত্যা মামলা রয়েছে।