প্রকাশ: শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২২, ৯:৩১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
অঘোষিত পরিবহন ও ল ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। এতে নিয়মিত এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রী, রোগীসহ নানা পেশার মানুষ পরিবহন ধর্মঘটের কারণে বিপাকে ও চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
গত শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার (৫ নভেম্বর) দু‘দিন ধরে এ সুযোগে মহাসড়কে যাত্রী পরিবহনে নেমে পড়েছেন তিন চাকার বিভিন্ন যানবাহন। ল , জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি বন্ধ রাখার এ ঘোষণা দেয়।
এর মাঝেও সকল বাঁধা উপেক্ষা করে বরিশালের সমাবেশে এ উপজেলা থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মি ও সমর্থক যোগদেয় এমনই স্থানীয় দাবি বিএনপি নেতাদের।
সরজমিনে দেখা গেছে, সড়ক গুলোতেএখানকার বছরের অন্য সময় তিন চাকার যানবাহন চলাচলে বিধি নিষেধ থাকলেও শুক্রবার সকাল থেকে এখন তিন চাকার রিকশা, অটোরিকশা, মাহেন্দ্র, ভটভটি নির্বিঘেœ চলাচল করছে এসব যানবাহন। সড়কে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের চাহিদাও বেড়েছে কয়েকগুণ মোটরসাইকেল চালক মো: হিরু মিয়া সহ এমনটাই জানিয়েছেন একাধিক চালকরা। তবে এসব পরিবহনে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে যাত্রীদের বিস্তর অভিযোগ।
উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আফজাল হোসেন বলেন, ‘ জরুরি কাজে বরিশাল যাওয় দরকার ছিলো কিন্ত এখন যাবো কিসে। যাওয়ার বাস-মিনিবাস নেই, বন্ধ। মোটরসাইকেল চললেও ভাড়া দ্বিগুন।'
বেতাগী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো: হুমায়ূন কবির মল্লিকসহ একাধিক নেতা-কর্মির দাবি শনিবারের সমাবেশ কেন্দ্র করেই যাতে সেখানে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থক কেউ পৌঁছতে না পারে সে জন্য পূর্বপরিকল্পিতভাবে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশী তল্লাশি-অভিযানের মাঝেও বেতাগী থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মি ও সমর্থক বারিশালের সমাবেশ সফল করতে যোগদান করছেন। তিনি আশা করেন সমাবেশ থেকে একইভাবে ফিরতে পারবেন।
বেতাগী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এস,এম নুরুল ইসলাম পান্না বলেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে অঘোষিত পরিবহন ও ল ধর্মঘট ডÍাকা হলেও কোন বাঁধাই তাদের আটকাতে পারেনি। দলের ভেতরে এই মুহূর্তে আমি কোন বিরোধ দেখছিনা। বরং রাতে কষ্ট করে খেয়ে-না খেয়ে সকল প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মণিসহ সর্বস্তরের হাজার হাজার নেতা-কর্মি সেখানে বরিশালের সমাবেশে অংশ গ্রহন করেন।
অবশ্য বরগুনা জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছগির মিয়া জানান, এর সাথে বরিশালে বিএনপির মহা সমাবেশর কোনো সম্পর্ক নেই। মহাসড়কে তিন চাকার অবৈধ যানবাহন বন্ধ করার দাবিতেই তাদের এ ধর্মঘট। তাদের দাবি সড়কে অবৈধ গাড়ির দৌড়াত্বের কারণে সড়কে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। এতে সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষয়-ক্ষতি সাধিত হয়।