#বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতা আর নয়: ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। #রাজনীতির মাঠ গরমের ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি: উৎপল দাস।
প্রকাশ: শুক্রবার, ৪ নভেম্বর, ২০২২, ১১:২৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
২০১৪ ও ২০১৮'র নির্বাচনে বিএনপি মূলত দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে ছিল। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা তো দূরের কথা নির্বাচনকে প্রতিহত করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছিল তারা ২০১৪তে এবং ২০১৮তে তারা শেষ মুহূর্তে ট্রেনে উঠে বসেছিল। ফলে যা হওয়ার কথা তাই হয়েছে। এইযে সঠিক রণনীতি গ্রহণ না করার কারণে রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের চরম মূল্য দিতে হয়েছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮৭৭তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, যে বিষয়টি নিয়ে আজকের ভোরের পাতা আলোচনার সূত্রপাত সেটা হচ্ছে রাজনৈতিক মাঠে অস্থিরতার আভাস! এটা নিয়ে আসলে আশ্চর্যের কিছু নেই কারণ বহুদিন ধরে মাঠের বিরোধী দল ক্ষমতার বাহিরে আছে এবং এর বড় একটা দায় কিন্তু তাদের উপর বর্তায় কারণ যখন থেকে তারা ক্ষমতা থেকে বিদায় নিয়েছেন তারপর থেকেই তারা দীর্ঘ সময় ধরে দুটি বিষয় নিয়ে লেগে পড়ে ছিল। একটি হচ্ছে বেগম জিয়া আরেকটি হচ্ছে তারেক জিয়া, এই দুজনের মুক্তির জন্য এবং তাদের দুজনকে ঘিরেই তাদের সকল চিন্তাভাবনা ছিল। জনগণের জীবনকে স্পর্শ করে এইধরনের নিত্যনৈতিক বিষয়গুলোকে বিরোধীদল হিসেবে তারা যোজন-যোজন দূরে ছিল। সকল ধরণের প্রকাশ্য রাজনীতিতে রাজনৈতিক দলগুলো মূলত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জনগণের ম্যানডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসার জন্য। ২০১৪ ও ২০১৮'র নির্বাচনে বিএনপি মূলত দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে ছিল। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা তো দূরের কথা নির্বাচনকে প্রতিহত করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছিল তারা ২০১৪তে এবং ২০১৮তে তারা শেষ মুহূর্তে ট্রেনে উঠে বসেছিল। ফলে যা হওয়ার কথা তাই হয়েছে। এইযে সঠিক রণনীতি গ্রহণ না করার কারণে রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের চরম মূল্য দিতে হয়েছে।
উৎপল দাস বলেন, দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে বিএনপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে একটি বড় প্লাটফর্ম হিসেবে বেছে নিয়েছে। তাই সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম প্রচারের পাশাপাশি তাদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সক্রিয় থাকতে হবে। সামনের দিনে আরও চ্যালেঞ্জ আছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার সুযোগ্যকন্যা শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে দেশ যখন উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার মহাসড়কে তখন আন্দোলন সংগ্রামে ব্যর্থ হয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। জনমানুষের সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি আবার সহিংস হয়ে ওঠার অপচেষ্টা করছে, কিন্তু জনগণ সচেতন রয়েছে। বিএনপির নেতারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হয়ে এখন গলাবাজি করে রাজনীতির মাঠ গরম করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সকল অপচেষ্টা, সব প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক পথে উন্নয়ন আর অগ্রযাত্রার পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।