প্রকাশ: শুক্রবার, ৪ নভেম্বর, ২০২২, ৯:১৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ভারতীয় লোগো ব্যবহার করা প্লাস্টিক বস্তায় দেশি চালে বাজার সয়লাব হয়ে পড়েছে। ক্রেতা-ভোক্তা ঠকানোর কারবারে নেমেছে অসাধু চাল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। অসাধু ব্যবসায়ীচক্রের এই লোক ঠকানোর দৌরাত্ব্য যেন কিছুতেই থামছেনা। বরং, তার ব্যাপকতা ও বিস্তৃতি ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন অ লে। দেখার যেন কেউ নেই!
নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে জানাগেছে, বৈধ উপায়ে এলসি’র মাধ্যমে ভারত থেকে আমদানিকৃত সেদেশের জনপ্রিয় চালের ব্রান্ড ‘নুরজাহান’ লোগো ব্যবহার করা চাল বাজারজাত করছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অধিক বিক্রি ও মুনাফার লোভে দেশিয় কতিপয় অসাধু অটোরাইস মিলার নিজেদের উৎপাদিত চাল নুরজাহান একই লোগো সম্বলিত বস্তায় বাজারজাত করে চলেছে। এক্ষেত্রে ক্রেতা-ভোক্তা সাধারণ প্রাতারণার শিকার হচ্ছে। অসাধু এই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট এর আগে বিভিন্ন চালের ব্রান্ডে ‘মিনিকেট, সুপার মিনিকেট, বাসমতি’ ইত্যাদি নাম ব্যবহার করে চাল বাজারজাত করে আসছিলো। এখন তারা ভারতীয় জনপ্রিয় চালের ব্রান্ড ‘নুরজাহান’ লোগো ব্যবহার করে লোক ঠকানোর নতুন কারবারে মাঠে নেমেছে।
বিশ^স্ত একাধিক সূত্রের দাবি, যশোরের সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক মোকাম খ্যাত নওয়াপাড়া বাজারের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মজুমদার ট্রেডার্স ও শেখ ব্রাদার্স প্রতিদিন একদেড়’শ ট্রাকসহ চাঁচড়ার এ্যরোস্ট ফুড, ঝিকরগাছার এসেনশিয়াল, নাভারণের চৌধুরী অটো থেকে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক চাল দেশের বিভিন্ন মোকামের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের নিকট সরবরাহ করে থাকে।
জানাগেছে, সীমান্তবর্তী শার্শা ও ঝিকরগাছা উপজেলায় গড়ে উঠা অটোরাইস মিলে দেশীয় বিভিন্ন মোটাচাল প্রসেস করা হচ্ছে। যা পরবর্তীতে ভারতীয় চিকন চালের জনপ্রিয় ব্রান্ড ’নুরজাহান’ লোগো ব্যবহার করে ২৫ ও ৫০ কেজির বস্তা বাজারজাত করা হচ্ছে। ফলে দেশীয় ক্রেতা-ভোক্তারাও প্রকারন্তরে প্রতারিত হচ্ছেন। অথচ অতিমুনাফা লোভী এসব দূবৃত্ব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে না।
উল্লেখ্য, ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য ও অপরাধের ৪৩ধারায় বলা হয়েছে অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন বা প্রক্রিয়াকরণ করা হলে ২বছরের কারাদন্ডসহ একলাখ টাকা জরিমানা। এছাড়া ৪৪ধারায় বলা আছে মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতা সাধারণকে প্রতারিত করা হলে এক বছরের সাজাসহ ২লাখ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে।