ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ফরিদপুর-১ আসনের জনপ্রিয় নেতা, দৈনিক ঢাকা টাইমস, ঢাকা টাইমস টোয়েন্টফোর ডটকম ও সাপ্তাহিক এই সময় সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলনের আরোগ্য কামনায় ফরিদপুরে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে রবিবার বিকালে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোনায়েম খান।
গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন গোপালপুর নূরানী মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আমিরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরিফুর রহমান দোলনের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের নানাদিক তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আকরাম হোসেন বলেন, ‘আরিফুর রহমান দোলন শুধু আলফাডাঙ্গারই কৃতি সন্তান নন, তিনি গোটা ফরিদপুরের গর্ব। এত কম বয়সে এলাকার অসহায় মানুষের কল্যাণে, এলাকার কল্যাণে কাজ করে যে জনপ্রিয়তা তিনি অর্জন করেছেন তা বলা বাহুল্য। তার কাছে কেউ কোনো সমস্যা নিয়ে গেলে খালি হাতে কখনও ফিরে আসে না। দোলন দ্রুত সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসুক এই কামনা করি।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম সুজা বলেন, ‘দোলন এত অল্পবয়সে সামাজিক সহযোগিতামূলক কাজকর্মে অনেক প্রবীণকে ছাড়িয়ে গেছেন। তাঁর মেধা ও দক্ষতার প্রশংসা শুধু ফরিদপুরে নয়, তাঁর কর্মপরিধির মধ্যে সবাই তাঁকে অনেক সম্মান করেন, ভালবাসেন। আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি দ্রুত আরোগ্য লাভ করুন।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন চুন্নু বলেন, ‘এলাকার রাস্তাঘাট, মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজসহ এলাকার অসহায়, দুস্থ্য মানুষের শিক্ষা, চিকিৎসার কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন দোলন। আলফাডাঙ্গায় একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (টিটিসি) নির্মাণ হয়েছে। এর পেছনেও তাঁর ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন এই কামনা করছি।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সেলিম রেজা বলেন, ‘আরিফুর রহমান দোলনের মতো একজন ব্যক্তি আলফাডাঙ্গায় আর দ্বিতীয়টি খুঁজে পাওয়া যাবে বলে আমার মনে হয় না। তিনি মানুষের সেবায় যেভাবে কাজ করছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।’
গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোনায়েম খান বলেন, ‘দোলন ভাই আলফাডাঙ্গার উন্নয়নে যে অবদান রেখেছেন তা আমাদেরকে স্বীকার করতে হবে। তার অবদান আলফাডাঙ্গার মানুষ সারাজীবন মনে রাখবে।’
তিনি বলেন, ‘টিটিসির মতো একটা সরকারি প্রতিষ্ঠান কামারগ্রামে প্রতিষ্ঠার পিছনে যে অবদান তিনি রেখেছেন তা বিগত পঞ্চাশ বছরেও কোনো নেতা করতে পারেননি। আসলে দোলন ভাইয়ের চিন্তা-ভাবনাই হচ্ছে কিভাবে এলাকার উন্নয়ন করা যায়।’
মোনায়েম খান আরও বলেন, ‘দোলন ভাইয়ের মত যদি আমাদের অন্য নেতারা চিন্তা-ভাবনা করতেন তাহলে আমাদের আলফাডাঙ্গা আরও আগেই উন্নত উপজেলায় পরিণত হতো।’
গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজা মিয়া বলেন, ‘একজন সৎ ও যোগ্য মানুষের মধ্যে যত ধরনের গুণ থাকা দরকার দোলনের মধ্যে তার সবই আছে। তিনি যেন সুস্থ হয়ে আবারো মানুষের সেবায় কাজ করতে পারেন, আমরা সবাই সেই দোয়া করি।’
দোয়া মাহফিলে অন্যদের মধ্যে আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সেকেন্দার আলম, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবীর, আলফাডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নাজমুল ইসলাম রানা প্রমুখ বক্তব্য দেন।