তুমি আমার প্রাণসংশয়ে প্রাণেশ্বরী,
অমৃতপানে প্রাণিতত্ত্বনী।
তুমি স্বপ্নিল স্বপ্নচারিনী, স্বপ্নরূপের স্বপ্নঘোর।
তুমি প্রেরণাস্থল প্রাণিত স্পন্দনে,
প্রাণেশ্বরের প্রাণপণে।
তুমি অনাবিষ্কৃত অনাগত ভবিষৎ,
অমানিশার বিপরীতার ঘোটকিনী।
তুমি অবিচলিত প্রিয়তমের লক্ষনাব্রতে বিজয়াঙ্গিনী।
তুমি উচ্ছ্বাসে উদ্বাসনে-
উচ্ছ্বল উচ্ছ্বসিত উদয়াগামিনী।
তুমি প্রিয়তমের বুকে এঁকে দাও পদচিহ্ন।
তুমি রাখীপূর্ণিমার রাখীবন্ধন, অপূজিত অম্লানবদনে মিষ্টমুখরাগিনী।
তুমি আশাহত বেদনাবোধের মাঝে,
অনন্তদেবী মহিমার মহীয়সী।
তুমি বিশ্বজনে দেবতার অনন্তকালের প্রতিভাত রূপরাশি।
তুমি অন্তরালে অন্তঃপ্রাণে প্রাণিত অভয়ারণ্য।
তুমি সতীসাধ্বী দেবীগণে উপমেয় উর্বরা উর্বশী।
তুমি দেবপরিচর্যায় ঘুমহারা অষ্টমীর অষ্টাদশী।
তুমি নদী বিদৌত পল্লীকবির কবিতাদি।
তুমি মহাদেবতার উদয়নে অনন্ত দেবীমূর্তি।
তুমি শেষ হও অশেষের অভেদ, অনুসৃত অনুজাত অনুসারিনী।
তুমি বার্তাবহনী রবীন্দ্রীয় অঝোর কবিতার কৃতিস্বত্ব ছন্দিত অনুরাগিণী।
তুমি মুক্তবিহঙ্গিনী মনীষীর, আকাশছোঁয়া মননিবেশিনী।
তুমি প্রিয়তমের মনেধরা মনেশ্বরী, নজরুলের নিত্যপাগল ছন্দানুরাগিনী।
তুমি জীবনাচরণের জীবনাধিক জীবনানন্দ।
তুমি প্রতিভাত প্রিয়তমের প্রতিভায়,
প্রতিভাসিত প্রিয়তমের প্রিয়তায়।
তুমি সত্যান্বেষী সরলা আগ্রাসী, প্রিয়তমার প্রিয়ভাষিনী।
তুমি অগ্রসরমান যুগলমিলনের জীবনকাহিনী।
তুমি বিশুদ্ধতায় বিশুদ্ধিনী, জীবনের অনাগত অবিরাম বিজয়িনী।